পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sእsbታ আদশ হিন্দী-হোটেল মািখ তাহাকে দেখাইতেই হইবে। সে বঝাইয়া বলিল, তাহার দ্বারা যাহা হইবার তাহা সে করিবেই। পাকা কথা থাকিল। একবার তামাক খাইয়া লইয়া বলিল-মা, সেই টাকার কথা মনে আছে : -হ্যাঁ খড়োমশায়। টাকা আপনার দরকার ? -কত দিতে পারবে ? —তখন ছিল আশি টাকা-এই দ-বছরে আর গোটা কুড়ি হয়েছে। --কি করে হ’ল মা ? 鬱 বন্ধটি লতাজায় মািখ নিচু করিয়া বলিল-আপনার জামাই লোক ভাল। গত সন তামাক পতে দ-পয়সা লাভ করেছিল, আমায় তা থেকে কুড়িটা টাকা এনে দিয়ে বলল, ছোট বেী রেখে দাও । এ তোমার রইল। --বেশ টাকাটা আমায় দিয়ে দাও সবটা। --নিয়ে যান। আমি তো বলেছিলামই সেবার--उठाळ्न भ6न् छ् ि८ऊा शा ? বধ জিভ কাটিয়া বলিল-আমন কথা বলবেন না খড়োমশায়, আপনি আমার বাপের বয়সী ব্রাহ্মণ দেবতা—দটাে কাণা কড়ি আপনার যুতে দিয়ে, অবিশবাস করবো, এমন মতি যেন ভগবান না দেন। মেয়েটির সরল বিশবাসে হাজারির চােখে জল আসিল। বলিল-বেশ, তাই দিও। সদে কি রকম নেবে ? --যা আপনি দেবেন। আমাদের গাঁয়ে টাকায় দ-পয়সার রেট--তাই পাবে আমার কাছে। হাজারি খাইতে বসিয়া কেবলই ভাবিতেছিল মাত্র এক শত টাকার মলধনে মেয়েটিকে সে এমন কিছ বেশী লাভের অংশ দিতে পরিবে না তো ' অংশীদার সে করিয়া লইবে তাহকে নিশ্চয়ই-কিন্তু এক শত টাকায় কর্ত আর বাযিাক লভ্যাংশ পড়িবে। হাজারির ইচ্ছা মেয়েটিকে সে আরও কিছ বেশী করিয়া দেয়। রেলওয়ে হোটেলের অংশে যে অন্য কাহারও নাম থাকিবার উপায় নাই নতুবা ওখানকার আয় বেশী হইত বাজারের হোটেলের চেয়ে । খাওয়া-দাওয়ার পর অলপক্ষণ মাত্র বিশ্রাম করিয়াই হাজারি রওনা হইল।