পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫

আদশ হিন্দী-হোটেল SS বেচু চক্কত্তি বলিল-হাঁ বােব, এরই নাম হাজারি। বাবটি বলিলেন-এর কথাই শানেচি। ঠাকুর তুমি আজ বর্ষার দিনে আমাদের মাংস পোলাও রোধে ভাল করে খাওয়াতে পারবে ? তোমার আলাদা মজরি যা হয় দেবো। বেচু বলিল-ওকে আলাদা মজরি দেবেন। কেন বাবা, আপনাদের আশীবাদে আমার হোটেলের নাম অনেক দর অবদি লোকে জানে। ও আমারই ঠাকুর, ওকে কিছ দিতে হবে না। আপনারা যা হকুম করবেন। তাই ও করবে । এই সময় পদ্ম ঝি বেচু চক্কত্তির ডাকে ঘরে ঢাকিল। বেচু চক্কত্তি কিছু বলিবার পর্বে জনৈক বাবা বলিল-ঝি, আমাদের একটি চা করে খাওয়াও তো এ বর্ষার দিনটাতে। না হয় কোনো দোকান থেকে একটা এনে দাও । বর্ব্বলেন চক্কত্তি মশায়! আপনার হোটেলের নাম অনেক দীর পর্যন্ত যে গিয়েচে বল্পেন-সে কথা মিথ্যে নয়। আমরা যখন আজি শিকারে বেরিয়েছি, তখন আমার পিসতুতো ভাই বলে দিয়েছিল, রাণাঘাটে যাচ্চ, শিকার করে ফেরবার পথে রেল-বাজারের বেচু চক্কত্তির হোটেলের হাজারি ঠাকুরের হাতে মাংস খেয়ে এসো। তাই আজি সারা সকালটা জলায় আর বিলে পাখী মেরে বেড়িয়ে বেড়িয়ে ভাবলাম, ফেরবার গাড়ী তো সেই সন্দ্যোয়। তা এ বর্ষার দিনে গরম গরম মাংস একটি খেয়েই যাই। মজরি কেন দেবো না চক্কত্তি মশায়? ও আমাদের রান্না করিক, আমরা ওকে খাশি করে দিয়ে যাবো। ওর জন্যেই তো এখানে আসা। কথা শনিয়া হাজারি যেমন খাঁশি হইয়া উঠিল, আরও সে খশি হইল। এই ভাবিয়া যে, চক্কত্তি মশায়ের কানে কথাগলি গেল-তাহার চাকুরীর উন্নতি হইতে পারে। মনিবের সনজরে পড়িলে কি না সম্ভব ? খশির চোটে ইহা সে লক্ষ্যই করিল না যে, পদ্ম ঝি তাহার প্রশংসা শনিয়া এদিকে হিংসায় নীলবর্ণ হইয়া উঠিয়াছে। বাবরা হােটেলের উপর নির্ভর করিল না—তাহারা জিনিসপত্র নিজেরাই DDDD DDDSS BDD DDB BB BDB BBDB DB BD BBBS