পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদশ হিন্দী-হোটেল SRO বাবরা বেচু চক্কত্তিকে হাজারি ঠাকুরের সম্পবন্ধে এমন সব কথা বলিলেন যে, বেচু চক্কত্তিও যেন অস্বসিত বোধ করিতে লাগিল সে কথা শনিয়া। চাকরকে ছোট করিয়া রাখিয়া মনিবের সংবিধা আছে, তাহাকে বড় করিলেই সে পাইয়া বসিবে। যাইবার সময় একজন বাবা হাজারিকে আড়ালে ডাকিয়া বলিলেনতুমি এখানে কত পাও ঠাকুর ? --সাত টাকা আর খাওয়া-পরা। -এই দটাে টাকা তোমাকে আমরা বকশিশ দিলাম-চমৎকার রান্না তোমার। যখন আবার এদিকে আসবাে, তুমি আমাদের রোধে খাইও । হাজারি ভারি খাঁশি হইল। বকশিশ। ইহারা হয়তো কিছ দেবেন। সে আশা করিয়াছিল বটে, কিন্তু দ-টাকা দিবেন তা সে ভাবে নাই। যাইবার সময় বেচু চক্কত্তির সামনে বাবরা হাজারির রান্নার আর এক দফা প্রশংসা করিয়া গেলেন। আর একবার শীঘ্রই শিকারে আসিবেন। এদিকে। তখন এখানে আসিয়া হাজারি ঠাকুরের হাতের মাংস না খাইলে তাঁহাদের চলিবেই না।--বেশ হোটেল করেছেন চক্কত্তি মশায়। বেচু চক্কত্তি বিনীতভাবে কাঁচুমাচু হইয়া বলিল-আজ্ঞে বােব মশায়েরা রাজসই লোক, সব দেখতে পাচ্ছেন, সব বর্ব্বতে পাচ্ছেন। এই রাণাঘাট রেলবাজারে হোটেল আছে অনেকগলো, কিন্তু আপনাদের মত লোক যখনই আসেন, সকলেই দয়া করে এই গরীবের কুড়েতেই পায়ের ধলো দিয়ে থাকেন। তা আসবেন, যখন আপনাদের ইচ্ছে হয়, আগে থেকে একখানা চিঠি দেবেন, সব মজাদ থাকবে আপনাদের জন্যে; বলবেন কলকাতায় ফিরে দচারজন আলােপী লোককে-যাতে এদিকে এলে তাঁরাও এখানেই এসে উঠেন। বাবা-তা আমার মজরীটা ?...হো-হো- --কত মজারী দেবো ? --তা দিন বাবা একবেলার মজারী আট আনা দিন। বাবরা আরও আট আনা পয়সা বেচুর হাতে দিয়া চলিয়া গেলেন। BB BD DBB DDBD DDSDDB BBD BDD BBB DD