পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৩

আদশ হিন্দী-হোটেল t -আমাদের গাঁয়ে ? —আমাদের গাঁয়ে নয়-নতুন কাওরা পাড়ায় একটা মরেচে। আর বামন পাড়ায় শনচি একটা-অত বড় বেচিকাতে কি গো ? হাজারি লাচির আসল ইতিহাস কিছু বলিল না। স্ত্রীর আনন্দপােশ সাগ্রহ প্রশেনর উত্তরে সে কেবল বলিল-পেয়েছি গো পেয়েছি। ভগবান দিয়েছেন, সবাই মিলে খেয়ে নাও মজা করে। টেপিকে খািব করে খাওয়াও, ও পেট ভরে খাবে আমি দেখি। সেদিন সকালের গাড়ীতে হাজারি রাণাঘাটে ফিরিতে পারিল না। দাপরের পর হাজারি কুসমের বাপের বাড়ী বেড়াইতে গেল। এই গ্রামেই গোয়ালপাড়ায় কুসীমের জ্যাঠামশায় হরি ঘোষের অবস্থা এক সময় যথেষ্ট ভাল ছিল, এখনও বাড়ীতে গোহািল-পোরা গরুর মধ্যে আটদশটি অবশিস্ট আছে, দটি ছোট ছোট ধানের গোলাও বজায় আছে। হাজারিকে হরি ঘোষ খাব খাতির করিয়া খেজর পাতার চটে বসিতে দিল। বলিল-কবে আলেন বাবাঠাকুর ? সব ভালো ? * -তোমরা সব ভাল আছ ? --আপনার ছিচরণের অশিববাদে এক রকম চলে যাচ্চে। রাণাঘাটেই का कम का ? -হ্যাঁ। সেখান থেকেই তো এলাম। -আমাদের কুসমের সঙ্গে দেখা-টেখা হয় ? হাজারি পাড়াগাঁয়ের লোক, এখানকার লোকের ধাত চেনে। কুসমের সঙ্গে সবাদা দেখাশোনা বা তাদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি টানের কোন পরিচয় এসে এখানে দিতে চায় না। ইহারা হয়তো সহজ ভাবে সেটা গ্রহণ করিতে পরিবে না। গ্রামে কথাটা রাষ্ট্ৰী হইয়া গেলে লোকে নানারপ কদর্থ টানিয়া ৰহিয়া করিবার চেণ্টা করিবে তাহা হইতে। সতরাং সে বলিল-হ্যাঁ, দহএকবার হয়েছিল। ভাল আছে। -এবার যদি দেখা হয়, একবার আসতে বলবেন ইদিকে। তার গাঁয়ে