পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদশ হিন্দী-হোটেল SO আজ মাস চার-পাঁচ হইল হরিচরণ মখায্যের একমাত্র পত্র কলিকাতায় । মারা যায় বসন্ত রোগে। পত্রের মতুর পর হইতেই আজ প্রায় তিন মাস হইল হরিচরণ বােব সপরিবারে দেশের বাটীতে আসিয়া যে কেন বাস করিতেছেন—সে খবর হাজারি রাখে না। তবে ইহা জানে যে, হরিচরণ বােব গ্রামের উত্তর মাঠে একটি দীঘি খনন করিবার জন্য জেলা বোড়ের হাতে অনেকগালি টাকা দান করিয়াছেন এবং পত্রের নামে একটি ডিসপেনসারী করিয়া দিবেন গ্রামে। হরিচরণ বােব কারো বাড়ী যান না। নিজের বৈঠকখানায় বসিয়া আছেন সব সময়। তাঁর দাই মেয়ে ও সত্রী এখানেই, তাছাড়া চাকর-বাকর ও দজন দরওয়ান আছে বাড়ীতে। সন্ধ্যার পর সাহসে ভর করিয়া হাজারি হরিচরণ বাবার পৈতৃক আমলের বৈঠকখানার উঠানে গিয়া দাঁড়াইল। বৈঠকখানা বাড়ীর সামনে বড় বড় থামওয়ালা সাদা মাবেল পাথর বাঁধানো বারান্দা। বারান্দার সামনে একটা মাঝারী গোছের কামরা, পাশে একটা ছোট কামরা পাবে নবীন বাব বলিয়া ইহাদের এক সরিক বড় বৈঠকখানার পাশে পথিকভাবে নিজের জন্য আর একটি বৈঠকখানা তৈরী করিয়াছিলেন--তিনি আজ পাচিশ বৎসর হইল। “নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যাওয়াতে, উক্ত বৈঠকখানা ঘর বর্তমানে বিচালি রাখিবার জন্য ব্যবহৃত হয়। DBBBD BBB BBDB DDD DBD BDDD S uBB DDDDYA বাবা তুমি বোসো, আমি অতসী-দিকে বলিগে তুমি এসেছ কলের গান শািনতে।” এখনি দেবে গান। κ. বৈঠকখানার সামনে হাজারিকে দাঁড় করাইয়া রাখিয়া টেপি পাশের छाप्ने झझङका निशा वाएछीद्र भहथा नद्रिशा *एष्ट्रब्न । ঘরের মধ্যে তেলের চৌপায়া লণ্ঠন জীবলিতেছে। ইহা সাবেকী। কালের বন্দোবস্ত, এখনও ঠিক বজায় আছে। হাজারি বারান্দায় দাঁড়াইয়া ইতস্ততঃ করিতেছে। ঘরে ঢাকিবে কি না, এমন সময় ঘরের ভিতর হইতে স্বয়ং হরিচরণ বােব বারান্দায় বাহির হইয়াই সামনে হাজারিকে দেখিয়া বলিলেন-কে ?