পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদশ হিন্দী-হোটেল c --আছে তো দীবাটি দ্যাও ডালে ফেলে—দিয়ে একটি নতুন দিয়ে গরম করে নাও । হাঁ করে দাঁড়িয়ে দেখচো কি ? হাজারি এ ধরনের কাজ কখনো করে নাই। করিতে তাহার বাধে। সে সত্যই ভাল। রাঁধানী। ইচ্ছা করিয়া হাতের ভাল রান্নাটা নন্ট করিতে বা এভাবে খারিন্দার ঠকাইতে তাহার মন করে না। কিন্তু পদ্ম ঝির হকুম না মানিয়া উপায় কি ? বাধ্য হইয়া ডালে ফেন মিশাইয়া খারিন্দার বিদায় করিতে হইল। ছটি পাইল সেদিন প্রায় বেলা আড়াইটায়। একটুখানি গড়াইয়া লইয়া রোদ একটা পড়িয়া আসিলে সে চাণী নদীর তীরে - তাহার অভ্যাসমত বেড়াইতে চলিল। আজ ক'দিন নদীর ধারে যায় নাই-আর সেই পরিচিত নিজন নিমগাছটার তলায় বসিয়া গাছের গাড়ি ঠেস দিয়া ওপারের খেয়াঘাটের দিকে এবং শান্তিপাের। যাইবার রাস্তার দিকে চাহিয়া থাকে নাই। বেশ লাগে জায়গাটা । আর ওখানে গিয়া বসিলেই হাজারির মাথায় হোটেল সংক্রান্ত নানা রকম নতুন কথা আসে, অন্য কোথাও তেমন হয় না। আজ জায়গাটাতে গিয়া বসিতেই হাজারির প্রথমে মনে হইল, হোটেল চলে রান্নার। গণে। যাহারা পয়সা দিয়া খাইতে আসিবে, তাহারা চায় ভাল জিনিস খাইতে-ফেন মিশানো ডাল খাইতে তারা আসে না। পদ্ম ঝিয়ের ততদিনে খোলা হইয়া যাইবে। তাহার রান্নার গণেই হোটেল চলিবে। হঠাৎ হাজারি লক্ষ্য করিল, যতীশ ভটচাজ চাণীর খেয়াঘাটে দাঁড়াইয়া আছে । বোধ হয়। পার হইয়া ওপারে। যাইবে । --ও ভাটী চাজী মশায়-ভটচাজী মশায়যতীশ চাহিয়া দেখিয়া উঠিয়া হাজারির কাছে আসিল। -कथा बादन ? --যাচ্ছি একটু ফলে-নাবলা, আমার ভায়রাভাই থাকে, তারই ওখানে।