পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R আদর্শ হিন্দী-হোটেল প্রতিদিনের মত আজও বেলা পড়িয়া আসিলা। গত দ’বৎসর যেরূপে হইয়া আসিতেছে। সেই একই ঘোড়ানিম গাছ, সেই একই চাণীর খেয়াঘাট, পালেদের সেই একই কয়লার ডিপোতে মর্টে ও সরকার বাবার সঙ্গে ঝগড়া চলিতেছে- সবই পরাতন। দিন যায়, কিন্তু তাহার সাধ পণ্য হইবার তো কোনো লক্ষণই দেখা যাইতেছে না। বরং দিন দিন আরও ক্রমে অবস্থা খারাপের দিকেই চলিয়াছে। সামান্য মাইনে হোটেলের-কি হইবে ইহাতে ? বাড়ীতে টেপিকে একখানা ভাল সখের কাপড় দেওয়া যায় না, পেট পরিয়া খাইতে দেওয়া | | | টেপির মা গরীবু ঘরের মেয়ে। যেমন বাপের বাড়ীতে কখনও সখের মািখ দেখে নাই, স্বামীর ঘরে আসিয়াও তাই। সংসারে গভীর খাটনি খাটিয়া ছেলেমেয়ে মানষে করিতেছে-মািখ ফটিয়া কোনোদিন সবামীর কাছে কোনো আদর আবদার করে নাই-ছোড়া কাপড় সেলাই করিয়া পরিতেছে, আধ-পেটা খাইয়া নিজে, ছেলেমেয়েদের জন্য দমঠা বেশী ভাত জল দিয়া রাখিয়া দিতেছে হাঁড়িতে, তাহারা সকাল বেলা খাইবে। কখনো কোনোদিন সেজন্য বিরক্তি প্রকাশ করে নাই, অদ্যটিকে নিন্দা করে নাই। হাজারি সব বোঝে। তাই তো সে আজকাল সর্বদা একমনে উপায় চিন্তা করে---কি করিয়া সংসারের উন্নতি করা যায়। চক্কত্তি মশায়ের হোটেলে রাঁধ নিবত্তি করিলে কখনও যে উন্নতি করা যাইবে না। আর পলম ঝির কাঁটা খাইয়া মাঝে পড়িয়া छाछ कव्नि श्ईशा याईgद। ভগবান যদি দিন দেন, তবে তাহার আজীবনের সংকল্প সে কাষে “পনিণত করবে। হোটেল একখানা খলিবে। 萄 কুসমের সঙ্গে এই যে আলাপ হইয়াছে, হাজারি এটাকে পরম সৌভাগ্য বলিয়া মনে করে। কুসম চমৎকার মেয়ে-প্রবাস-জীবনে কুসমের সাহচষ, তাহার মধ্যর ব্যবহার-হোক না সে গোয়ালার মেয়ে-কিন্তু বড় ভাল লাগে,