পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদশ হিন্দী-হোটেল পদ্ম ঝি বলিল-তোমার সব মিথ্যে কথা ঠাকুর। ওকথায় কখনো ভদ্দর লোক চটে না। তুমি বেয়াদপের মত কতকো করেচো তাই বােব চটে গিয়েচোন। আমি গিয়ে সম্বকর্ণে শনিচি তুমি যা তা বলচো। অবশ্য এখানে পদ্ম ঝিয়ের উক্তির সত্যতা সম্বন্ধে কোন প্রশনই চলিতে পারে না, এ কথা হাজারি ভাল করিয়া জানিত। বেচু চক্কত্তি মহাশয় কাহারও কথা শানিবেন না, পদ্ম ঝি যাহা বলিবে তাঁহাই ধ্রুব সত্য বলিয়া জানিয়া লাইবেনই। সে অগত্যা চুপ করিয়া রহিল। বেচু চক্কত্তি বলিলা-পচা মাছ কে এনেছিল ? হাজারি উত্তর দিবার পাবেই পদ্ম ঝি বলিল-ওই গিয়েছিল বাজারে। ওই এনেচে । হাজারি বিসময়ে কাঠ হইয়া গেল। কি সব নোশে মিথ্যে কথা! পর্ম্ম ঝি খব ভাল করিয়াই জানে, কাল রাত্রে প্রায় দেড়পোয়া আন্দাজ পোনা মাছ উদ্বত্ত হইলে, পদ্ম ঝি-ই তাহাকে বলিয়াছিল, মাছগলো ঢাকিয়া DDBB BB BDBD BD DBDBBD DBDB BB DDBD DB DB DDD করিতে; তাহা হইলে খরিদার টের পাইবে না যে মাছটা বাসি। বাসি মাছ ভাজা সে খারিন্দারকে দিতে যায় নাই, পদ্ম ঝি নিজেই ভাজা মাছ দিবার কথা কিন্তু এ সব কথা বেচু চক্কত্তিকে বলিয়া কোন লাভ নাই। বেচু চক্কত্তি বলিল-তোমার আট-আনা জরিমানা হোল। মাইনের সময় का याद-बा93 । হাজারি রান্নাঘরে ফিরিয়া আসিল-কিন্তু তাহার চোখ দিয়া যেন জল বাহির হইয়া আসিতে চাহিতেছিল, কি অসহ্য অবিচার! সে বাজারে গিয়াছিল। ইহা সত্য, মাছ কিনিয়াছিল। তাহাও সত্য, কিন্তু সে মাছ পচা নয়, সে মাছ খারিন্দারের পাতে দেওয়াই হয় নাই! অথচ পর্ম্মম ঝি দিব্য তাহার ঘাড়ে সব দোষ চাপাইয়া দিল, আর সেই মিথ্যা অপরাধে তাহার হইল জরিমানা। পদ্ম দিদি তাহার সঙ্গে যে কেন এমন করিয়া লাগে-কি করিয়ায়ে সে পশ্চিম দিদির ?