পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদর্শ হিমা-হোটেল 96. রতন ঠাকুর আজ নাই, খাটনি সবই তাহার ওপর। আট-দশ জন লোক ইতিমধ্যে টিকিট কিনিয়া খাবার ঘরে ঢাকিল, চাকরে জায়গা করিয়া দিল। হাজারি তাড়াতাড়ি আল ভাজিয়া ইহাদের ভাত দিল। তাহারা খব গোলমাল করিতে লাগিল, শােধ আলভাজা আর ডাল দিয়া খাওয়া যায় ? ইহারা সকলেই রেলের যাত্রী। স্টেশন হইতে তাহাদের হোটেলের চাকর বলিয়া আনিয়াছে যে একমাত্র তাহদেরই হােটেলে এত সকালে সব হইয়া গিয়াছে—মাছের ঝোল, অম্বল পর্যন্ত। এখন দেখা যাইতেছে যে ডাল আর আলভাজা ছাড়া আর কিছই হয় নাই—একি অন্যায় ইত্যাদি। পদ্ম ঝি দরজার কাছে মািখ বাড়াইয়া বলিল-ও ঠাকুর, দাওনা মাছ ভেজে, বলচেন শনিতে পাও না ? বাবরা খাবেন কি দিয়ে ? অর্থাৎ সেই পচা মাছ ভাজা আবার দাও। আজকার মাছ এখনও হয় নাই পদ্ম তাহা জানে। হাজারি ঠাকুর। কিন্তু পচা মাছ আর খারিন্দারদের পাতে দিবে না। সে |-ভাজা মাছ আর নেই। যা ছিল ফরিয়ে গিয়েচে । পদ্ম ঝি বলিল-তবে একটা বসন বাবরা, একখানা তরকারী করে দচ্ছে, বসন আপনারা উঠবেন না। uBBDBB BDDu DDB BDDDD DDYSqD DBS BB BDu BDBB যে সময় হোল, রান্না-বান্না কিছ হোল না এখন ? ঘণ্টা পড়ে গিয়েচে যে। খারিন্দারেরা ব্যস্ত-সমস্ত হইয়া উঠিল। ইহারাও সেই গাড়ীতে কৃষ্ণনগরে যাইবে! একজন বলিল-ঘণ্টা পড়ে গিয়েচে ? মতি চাকর বলিল-হাঁ বাবা, অনেকক্ষণ। গাড়ী গাংনাপাের ছেড়েচে |-এল বলে । মাহুভাজা খাওয়া মাথায় থাকুক-তােহারা তাড়াতাড়ি উঠতে পারিলে ধাঁচে। গাড়ী ফেলা হইয়া গেলে অনেকক্ষণ আর গাড়ী নাই। পদ্ম ঝি বলিল-আহা-হা উঠবেন না। বাবরা, ধীরে সপোথ খান। মাছ দও ঠাকুর, আমি তাড়াতাড়ি কুটে দিচ্চিা বসন বাবারা।