পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO আদশ হিন্দী-হোটেল না খেয়ে মরবে। এই আধলিটা সম্পবেল, দোহাই বলচি রাধাবল্লাভের-এতে আমি কি খাবো, আর রেলভাড়া কি দেবো, বাড়ীর জন্যেই বা কি নিয়ে যাবো৷ -আমি হোটেলের মালিক নই যে তোমায় টাকা দেবো। কতামশায় যা বলেচেন তার ওপর আমার কি কথা আছে ? --দয়া করে পদ্মদিদি তুমি একবার বলো ওঁকে। না খেয়ে মারা যাবে, ছেলেপিলে। --কেন তোমার পেয়ারের কুসমের কাছে যাও, পদ্মদিদিকে কি দরকার এর বেলা ? হাজারির ইচ্ছা হইল আর ভুকদন্ডও সে এখানে দাঁড়াইবে না। চায় না যে এই সব জায়গায় যার তার মাখে কুসমের নাম উচ্চারিত হয়। বিশেষতঃ পদ্ম ঝিয়ের মাখে। সে চুপ করিয়া রহিল। পদ্ম রান্নাঘব হইতে চলিয়া গেল। একটখানি দাঁড়াইয়া সে চলিয়াই যাইতেছিল, পদ্ম ঝি আসিয়া বলিল ASiDDDD BLSS S SgDD BBBLL LD হাজারি অবাক হইয়া পদ্ম ঝিয়ের মাখের দিকে চাহিল। কখনো সে এমন কথা তাহার মাখে শোনে নাই। আমতা আমতা করিয়া বলিল-নাই খাওয়া-ইয়ে-না হয়নি ধরে। --তা হোলে বোসো। এখনও মাছটা নামেনি। মাছ নামলে ভাত খেয়ে তবে যাও। দাঁড়িয়ে কেন ? বসে না পিড়ি একখানা পেতে । হাজারি কলের পতুলের মত বসিল। পদ্মদিদি তাহাকে অবাক করিয়া দিয়াছে।.....সাত বছরের মধ্যে একদিনও যা দেখে নাই!.....আশচয* কাপড়ই বটে ! মাছ নামিলে নতুন ঠাকুর হাজারিকে ভাত বাড়িয়া দিল। পর্ম্ম বিকে আর এদিকে দেখা গেল না-সে। এখন খরিদদারদের খাওয়ার ঘরে ব্যস্ত আছে।" নতুন ঠাকুর যদিও হাজারিকে চেনে না। তবও ইহাদের কথাবার্তা শনিয়া সে বঝিয়াছিল, হাজারি হোটেলের পরানো ঠাকুর-চাকুরীতে জবাব হইয়া চলিয়া যাইতেছে। সে হাজারিকে খাব যত্ন করিয়া খাওয়াইল।