পাতা:আদায়ের ইতিহাস - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

हेंडिशन VOOR সম্বন্ধে তার ধারণা। কেবল পরিবর্তন নয়, নিজের অবস্থায় খুব ভাল রকম পরিবর্তনই সেই রমেশ করিয়াছে। তার কাছে মনে হইতেছে আকস্মিক, কিন্তু এ উন্নতি হয়তে রমেশের অনেক দিনের 65ांद्र कल। স্বামীর সঙ্গে বিদায় হইয়া যাওয়ায় তিন চার দিন পরেই প্রভা একবার এ বাড়ীতে আসিয়াছিল, যাওয়ার দিন যে কাণ্ড করিয়া গিয়াছিল। সেজন্য সকলের হাতে পায়ে ধরিয়া ক্ষমা চাহিতে । ক’দিনের মধ্যে গায়ে গয়না চাপানোর সুযোগ সে পায় নাই, তবে নূতন যে কাপড়খানা পরিয়া আসিয়াছে তার দাম অনেক। তাকে পৌঁছিয়া দিতে গেল ক্রিষ্টপ। প্রভাই এক রকম জোর করিয়া ধরিয়া লইয়া গেল। রমেশ একটি সুশ্রী নূতন বাড়ী ভাড়া করিয়াছে। ইতিমধ্যেই কয়েকটা আসবাব কিনিয়াছে দামী দামী। এতদিনের পুরাণে জিনিষ-পত্রের গায়ে আঁটা দারিদ্র্যের পরিচয়ের মধ্যে BDDBBDBDBD DBD BDBBDD DD BBB BBB DBDDD DYS প্রভার কপাল ফিরিয়াছে ভাবিয়া এক দিকে ত্রিষ্টুপের বুকটা যেমন হাল্কা হইয়া গেল,-অন্য দিকে রমেশের মত মানুষ যা পারিয়াছে নিজে সে তার চেষ্টা পর্যন্ত সুরু করিতে পারিল না ভাবিয়া মন তার ভারি হইয়া রহিল। মনে হইতে লাগিল, তার দ্বারা বোধ হয় কিছু হইবে না। সে শুধু কল্পনা করিতে জানে, তার শুধু স্বপ্ন দেখা। নিজে সে অক্ষম, অপদার্থ। নিজের সম্বন্ধে ধারণাটাই শুধু তার বড়। আত্মবিশ্বাসে আগুন লাগার তাপে পুড়িতে পুড়িতে তার দিন কাটিতেছিল ; এক সপ্তাহ পরে রমেশকে পুলিশে ধরিয়া নিয়া গেল এবং প্রভা কঁাদিতে কঁাদিতে ফিরিয়া আসিল বাপের বাড়ী। ত্রিীপের মনে হইল, একটা চোখে যেন এতদিন তার দৃষ্টি ছিল না, হঠাৎ সেই পুরাতন অন্ধ চোখে নূতন দৃষ্টি আসিয়াছে।