পাতা:আদায়ের ইতিহাস - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইতিহাস 8V9 অবিনাশ আড়াল হইতে হুঙ্কার দিয়া উঠিলেন, "চুপ কর প্রভা, জুতিয়ে মুখ ছিড়ে দেব। পাড়াশুন্দু লোককে শুনিয়ে চিল্লাচ্ছেন মেয়ে, বোকা বজ-জাত কোথাকার ” উনানে কেটলী চাপাইয়া মা রান্নাঘর হইতে বাহির হইয়া আসিলেন। প্রথমে প্রভাকে বলিলেন, ‘জামাই তো চুণকালি দিয়েছে মুখে, ভায়ের একদিনের বদখেয়ালটা চেপেই। যা না বাছা ? তারপর কঁাদ-কঁাদ হইয়া ত্রিষ্টপকে বলিলেন, “না ৰাবা, তুই লজ্জা করিস নে। মুখ-হাত ধুয়ে চা খেয়ে ওনার পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে নিবি যা। তোর কিছু দোষ ছিল না, পোড়ারমুখে বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে’- অবিনাশ ইতিমধ্যে আড়াল হইতে সামনে আসিয়াছিলেন, বলিলেন, “থাক থাক, ওসব কথা বলে আর কি হবে ? টাকা যা उांछ, लांe 6ड बिछे। সব উড়িয়ে দাওনি তো ?” ত্রিষ্টুপ সমস্ত টাকা আনিয়া অবিনাশের হাতে দিল। মোটে গোটা তের টাকা কম দেখিয়া অবিনাশ স্বস্তি বোধ করিলেন । কিছুক্ষণ ইতস্ততঃ করিয়া পাঁচটি টাকা ত্রিষ্টপকে ফিরাইয়া দিয়া বলিলেন, “দরকার হলে চেয়ে নিও।” ত্রিষ্টুপ কিছুই বলিল না। বেলা তিনটার পর জামা কাপড় পরিয়া সে বাহির হইয়া গেল । কুন্তলার দিদির বাড়ীতে গিয়া সে কিছুক্ষণ কাটাইয়া আসিবে। মনটা কেমন অশান্ত হইয়া আছে, ওবাড়ীর শান্তিপূর্ণ আবেষ্টনী আর দু’টি শান্ত ও সুখী মানুষের সঙ্গ হয় তো তার মনটাকেও শান্ত করিয়া দিবে। বাহিরে যাওয়ার আগে ত্রিষ্টুপ শুনিয়া গেল মা বলিতেছেন, “এত বড় সোমািত্ত রোজগেরে ছেলে, কদিন থেকে বলছি একটা বিয়ে থা দিয়ে দাও-” আর অবিনাশ বলিতেছেন, মেয়ে তো খুজিছি—”