পাতা:আদায়ের ইতিহাস - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

us Vfi মেয়ে খুজিতেছে মেয়ে। তার বাপ তার জন্য মেয়ে খুজিতেছে। এমন হান্তস্কর রকমের অশ্লীল ঠেকিল কথাটা ত্রিীপের কাছে। তার হইয়াছে বয়সকালের রোগ, সেজন্য এই ঔষধ প্রয়োজন। এর বেশী আর কি কিছু ভাবিয়াছে অবিনাশ ? তার মা ? মেয়ে খুজিয়া আনিয়া দিলে যথানিয়মেই সে প্রিয়া, সাখী, জননী ও গৃহিণী হইবে, এটা জানা কথা। কিন্তু জানা কথাটাও কি মনে পড়িয়াছে ওদের ? মেয়ে বলিতে যে মানবজাতীয়া জীব বুঝায়, তাও বোধ হয় খেয়ালে उांज नाझे । এই ভাবে কিছু ভাবিতে গেলেই আগে ত্রিষ্টুপ গভীর জ্বালা বোধ করিত, মনে হইত মানুষ বড় হীন, জীবনে শুধু ক্লেদ । আজ মৃদু আপশোষের সঙ্গে সে শুধু কৌতুক অনুভব করিল। বাড়ীতে নাই বলিয়াই যে বাজারে সে মেয়ে ভাড়া করিয়াছে, একথা মনে করার জন্য বাড়ীর লোকের উপর রাগ করা চলে না । এরকম করে বৈকি মানুষ, বাড়ীতে বৌ থাকিলে পর্যন্ত করে, নয়তো ভাড়া করার জন্য এত মেয়ে সংসারে থাকিত না। তাকে মহাপুরুষ মনে করিবার কোন কারণ বাড়ীর লোকের নাই। এটা তার ব্যক্তিগত অপমান নয়। সংসারে এরকম অনুচিত বাস্তবতা থাকাটা মানুষেরই অপমান। একি ভয়ানক কথা যে যুবকদের চরিত্র সম্বন্ধে মানুষকে সন্ত্রস্ত হইয়া থাকিতে হয়, ধরিয়া রাখিতে হয় যে, গোল্লায় যাওয়াই তাদের পক্ষে স্বাভাবিক। এই ব্যাপারটাই ত্রিষ্টুপের বড় খাপছাড়া মনে হয়। এরকম অভাব মানুষ সৃষ্টি করিয়া রাখিয়াছে কেন, মানুষের স্বভাব যাতে বিগড়াইয়া যায় ? চরিত্র একটা সমস্যা হইয়া দাঁড়ায় ? তার জন্মের অনেক আগেই এ সব ঠিক করিয়া রাখা উচিত ছিল। এতকাল মানুষ। তবে কি করিয়াছে ? এটুকু খ্রিষ্টপ বুঝিতে পারে যে এসব অভাবের ফল, মাসকাবারের পর আপিসের তিন বন্ধুর ফুর্তি করার বিকৃত সখা ওই ধরণের বিকার। কিন্তু তার কতখানি তনুগত। আর কতখানি মানসিক অভাব-বোধের