পাতা:আদায়ের ইতিহাস - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ø ' चंद्र তুমি প্রথম কথা তুললে। এ বিষয়ে আমরা কখনো আলোচনা कब्रि नेि ।' ‘আমি বুঝতে পারি নি, মনিদা।” ‘মুস্কিল তো হয়েছে সেইখানে। সব কথাই তুমি নিজের মত করে’ বুঝে নাও। যে ভাবে তুমি নিজে বুঝতে চাও সেই ভাবে।” এ ঠিক মন্তব্য নয়, সমালোচনা। নিজের সম্বন্ধে এই স্পষ্ট ও কঠোর সমালোচনা স্বীকার করা বা অস্বীকার করার ক্ষমতা ত্রিষ্টুপের ছিল না। নিজের সম্বন্ধে নিজেরই তার কত সংশয় আছে, কত প্রশ্ন আছে। কি করিবে স্থির করিয়া ফেলার সঙ্গে ওসব দ্বিধা সন্দেহের মীমাংসা তো আর হইয়া যায় নাই। কতদিক দিয়া কতভাবে নিজেকে তার আবিষ্কার করিতে হইবে, তাও কি এখনো সে জানে ? তার সম্বন্ধে কেউ জোরের সঙ্গে কোন মত প্রকাশ করিলে, সঙ্গে সঙ্গে সেটা সত্য কি মিথ্যা, ঠিক করিয়া ফেলিবার মত ভাল করিয়া এখনো সে নিজেকে চেনে না । মণীশের কথায় তার মধ্যে শুধু তীব্র একটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, নিজেকে পরাজিত, অক্ষম, অপদার্থ মনে হইতে থাকে। নূতন জীবন গড়িয়া তুলিবার চেষ্টা সুরু করিয়া গোড়াতেই সে হার মানিল। তার প্রথম চাওয়া, প্রথম দাবী ব্যর্থ হইয়া গেল। অথচ কত সহজ সে ভাবিয়াছিল কুন্তলাকে পাওয়া ! ‘আমি যাই, মনিদা ।” পরিচিত ঘরখানা যেন অপরিচিত হইয়া গিয়াছে। ঘরের বাহিরে যাইবে ভাবিয়া সে আগাইয়া যায় দরজার বদলে জানালার দিকে। DDBBDDD DBDBB BBD DDB DDBBDB DD DB DBBS BB ভুলিয়া গিয়াছে এবার সে কি করিবে। তারপর হঠাৎ সচেতন হইয়া দরজার দিকে অগ্রসর হয় । ‘তিষ্ঠ শোন।” ঘুরিয়া দাড়াইয়া ত্রিষ্টপ দেখিতে পায় মণীশ চিন্তিত ভাবে তার দিকে তাকাইয়া আছে।