পাতা:আদিশূর ও বল্লালসেন.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 。 আদিশূর ও বল্লাল সেন। হার আছে, এবং মেদিনী বিশ্বপ্রকাশ ও শব্দার্থ রত্নাকরে অম্বষ্ঠ অর্থে দেশ বিশেষের সংজ্ঞা উল্লেখ আছে। সেন রাজার ক্ষত্রিয়জাতির এই শাখান্তর্গত হওয়াই সম্ভব,এবং বঙ্গদেশে তৎপরবর্তী সময়ে ব্রাহ্মণ এবং বৈশ্যোৎপন্ন মনুর অম্বষ্ঠ জাতি বলিয়৷ গোল হইয় তাহাদিগকে বৈদ্য জাতি গণ্য করা হইয়াছে।” রাজেন্দ্র বাবুর এই সকল প্রমাণ কতদূর প্রবল এবং যুক্তিসঙ্গত তাহ। ক্রমে প্রদর্শিত হইতেছে। প্রথম প্রমাণে আদিশূরের বর্ণনায় ‘ক্ষত্রিয়বংশ-হংসঃ” এই বিশেষণ কুলাচার্য ঠাকুর-কৃত কুল পঞ্জিকাতে বিদ্যমান আছে, উল্লেখ করা হইয়াছে, কিন্তু কুলাচার্য্যগণ-কৃত রাঢ়ীয়শ্রেণী ও বারেন্দ্রশ্রেণী ব্রাহ্মণদিগের কুলপঞ্জিকা, বৈদ্য-কুলপঞ্জিকা, কায়স্থ-কুলদীপিকা, কুলরাম প্রভৃতি বহু কুলজি গ্রন্থ প্রচলিত আছে। ধ্রুবানন্দ মিশ্র, দেবীবর, কবিকণ্ঠহার প্রভৃতি অনেকেই কুলজি গ্রন্থ লিখিয়া সমাজে কুলাচার্য্য বলিয়া প্রসিদ্ধ হইয়াছেন। অতএব কোন কুলাচার্য্য ঠাকুর-কৃত কুলপঞ্জিকা, তাহ। নির্দিষ্ট না থাকা হেতু আমরা চারি পাঁচ খানি কুলপঞ্জিকা অনুসন্ধান করিয়া দেখিলাম কিন্তু একখানিতেও “আদিশূরঃ ক্ষত্রিয়বংশহংসঃ ” প্রাপ্ত হইলাম না । প্রকৃত প্রস্তাবে কোন কুলপঞ্জিকাতে ‘ক্ষত্রিয়বংশ হংসঃ” বচন বিদ্যমান থাকিলেও আদিশূরের ক্ষত্রিয়ত্ব কতদূর প্রতিপাদিত হয়, বলিতে পারিনা। সংস্কৃত ভাষার প্রকৃতি অনুসারে সামান্য আকারাদির পরিবর্তনে শব্দার্থের ভাবান্তর হইয়া যায়, অতএব সম্পূর্ণ শ্লোকাভাবে শ্লোকের কিয়দংশের অর্থ নিরূপণ করা সুকঠিন। যাহা হউক, রাজেন্দ্র বাবুর