পাতা:আধাঁরে আলো - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

হইল, এই প্রকাশ্য বাজপথেই ওই দুটি রাঙ্গা পায়ে লুটাইয়া পড়ে, কিন্তু চক্ষেব নিমিষে গভীব লজ্জায় তাহার মাথা এমনি হেঁট হইয়া গেল যে, সে মুখ তুলিয়া একবার প্রিয়তমার মুখেব দিকে চাহিয়া দেখিতেও পারিল না, নিঃশব্দে নতমুখে ধীৰে ধীরে চলিয়া গেল। | ও-ফুটপাতে তাহার আদেশমত দাসী অপেক্ষা করিতেছিল, কাছে আসিয়া কহিল, আচ্ছা দিদিমণি, বাবুটিকে এমন করে নাচিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছ কেন? বলি, কিছু আছে টাছে? দু’পয়সা টানতে পারবে ত? রমণী হাসিয়া বলিল, তা জানিনে, কিন্তু হাবাগােবা লােকগুলােকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুবােতে আমার বেশ লাগে। | দাসীটিও খুব খানিকটা হাসিয়া বলিল, এতও পার তুমি! কিন্তু যাই বল দিদিমণি, দেখতে যেন রাজপুত্তর! যেমন চোখমুখ, তেমনি রঙ। তােমাদের দুটিকে দিব্যি মানায় --দাড়িয়ে কথা কচ্ছিলে, যেন একটি জোড়া-গােলাপ ফুটে ছিল। রমণী মুখ টিপিয়া বলিল, আচ্ছা চল। পছন্দ হয়ে থাকে ত না হয় তুই নিস্। দাসীও হটির পাত্রী নয়, সেও জবাব দিল, না দিদিমণি, ও জিনিস প্রাণ ধবে কাউকে দিতে পারবে না, তা বলে দিলুম। চার জ্ঞানীরা কহিয়াছেন, অসম্ভব কাণ্ড চোখে দেখিলেও বলিবে না, কারণ, অজ্ঞানীরা বিশ্বাস করে না। এই অপবাধেই শ্রীমন্ত বেচারা নাকি মশানে গিয়াছিল। সে যাই হােক, ইহা অতি সত্য কথা, সত্য লােকটা সেদিন বাসায় ফিরিয়া টেনিস পড়িয়াছিল এবং ড জুয়ানের বাঙলা তর্জমা করিতে বসিয়াছিল। অতবড় ছেলে, কিন্তু একবারও এ সংশয়ের কণামাত্রও তাহার মনে উঠে নাই যে, দিনের বেলা শহরের