পাতা:আধুনিক সাহিত্য-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ডি প্রোফণ্ডিস
১৬৫

সন্তান শেষ হইল, কিন্তু যে সুত্র বাহিয়া এই সন্তান আসিয়াছে সেই সুত্রের শেষ হইল না। তিনি এখন দেখিলেন, অনন্ত পথের একজন পথিক, পথের মধ্যে অবস্থিত তাহার গৃহে পৃথিবীতলে অতিথি হইয়াছে। এই আতিথ্যজীবনকে সন্তান বলে, মনুষ্য বলে। আতিথ্যজীবন ফুরায়, সন্তানও ফুরায়, কিন্তু পথিক ফুরায় না। প্রথমে তিনি সেই অতিথিকে সম্ভাষণ করিলেন, এখন সেই মহাপান্থকে সম্ভাষণ করিতেছেন। এখন পৃথিবীর অতিথিকে নহে, মহাকালের অতিথিকে সম্ভাষণ করিলেন। এখন তিনি দেখিতেছেন যে, এই পথিক সৌরজগতেরও জ্যেষ্ঠভ্রাতা। প্রথম সম্ভাষণে তিনি কোটি কোটি যুগ ও আবর্তমান আলোকের নির্মাণশালার উল্লেখ করিয়াছেন, অপরিবর্তনীয় পরিবর্তনের জগতে ক্রমোত্থানশীল জীবনের উল্লেখ করিয়াছেন এবং কহিয়াছেন—

With this last moon, this crescent—her dark orb
Touched with earth's light—thou comest

অর্থাৎ মনুষ্যের জন্মও এইরূপ চন্দ্রকলার ন্যায়; তাহার একাংশ পৃথিবীর জীবন, পৃথিবীর বুদ্ধি পাইয়া আলোকিত হয়। দ্বিতীয় ভাগে যাহাকে সম্ভাষণ করিতেছেন তাহার কারণ আলোচনা করিতে গিয়া কবি সময়ের সংখ্যা গণনা করেন নাই, নির্মাণের উপাদান উল্লেখ করেন নাই। এইবার তিনি কহিতেছেন—

Out of the deep, my child, out of the deep,
From that great deep, before our world begins,
Whereon the Spirit of God moves as He will—
Out of the deep, my child, out of the deep,
From that true world within the world we see,
Whereof our world is but the bounding shore—
Out of the deep, my child, out of the deep,