আর বলিতেছে এলেই ঠ্যাঙে লাঠি মারবো। জীবানন্দের উঠিতেও ইচ্ছা করিতেছিল না, বসিতেও পারেন না। ফাঁপরে পড়িয়া বলিলেন,
“মহাশয় এ ঘর আমার, চিরকাল ভোগ দখল করিতেছি, আপনি বাহিরে যান।”
শান্তি। এ ঘর আমার, অর্দ্ধ দণ্ড ভোগ দখল করিতেছি, আপনি বাহিরে যান।
জীব। মঠের ভিতর মারামারি করিতে নাই বলিয়াই লাথি মারিয়া তোমায় নরককুণ্ডে ফেলিয়া দিই নাই, কিন্তু এখনই মহারাজের অনুমতি আনিয়া তোমায় তাড়াইয়া দিতে পারি।
শান্তি। আমি মহারাজের অনুমতি আনিয়াই তোমায় তাড়াইয়া দিতেছি। তুমি দূর হও।
জীব। তাহা হইলে এ ঘর তোমার। মহারাজকে কেবল জিজ্ঞাসা করিয়া আসিতেছি; আগে বল তোমার নাম কি?
শান্তি। আমার নাম নবীনানন্দ গোস্বামী, তোমার নাম কি?
জীব। আমার নাম জীবানন্দ গোস্বামী।
শান্তি। তুমিই জীবানন্দ গোস্বামী! তাই এমন?
জীব। তাই কেমন!
শান্তি। লোকে বলে, আমি কি করবো।
জীব। লোকে কি বলে?
শান্তি। তা আমার বল্তে ভয়ই কি? লোকে বলে জীবানন্দ ঠাকুর বড় গণ্ডমূর্খ।
জীব। গণ্ডমূর্খ, আর কি বলে?
শান্তি। মোটা বুদ্ধি।
জীব। আর কি বলে?