শান্তি। যুদ্ধে কাপুরুষ।
জীবানন্দের সর্ব্ব শরীর রাগে গর গর করিতে লাগিল, বলিলেন, “আর কিছু আছে?”
শান্তি। আছে, অনেক কথা—নিমাই ব’লে আপনার একটি ভগিনী আছে।
জীব। তুমি বড় বেল্লিক হে—
শান্তি। তুমি ভল্লুক হে।
জীব। তুমি উল্লুক, অর্ব্বাচীন, নাস্তিক, বিধর্ম্মী, ভণ্ড, পামর!
শান্তি। তুমি—ষলায়বায়াবোচীচঃ—তুমি—স্তু শ্চুভি শ্চুশাহ—তুমি ষ্টভিষ্ট্বষ্যদান্তটোঃ।
জীব। বের শালা এখান থেকে—তোর দাড়ি ছিঁড়ির।
শান্তি তখন গণিল প্রমাদ! দাড়ি ধরিলেই মুস্কিল। পরচুলো খসিয়া পড়িবে। শান্তি সহসা রণে ভঙ্গ দিয়া পলায়নে তৎপর হইল।
জীবানন্দ পিছু পিছু ছুটিল। মনে মনে ইচ্ছা, ভণ্ডটা মঠের বাহিরে গেলে দুই ঘা দিব। শান্তি যাই হউক স্ত্রী-লোক—দৌড়ধাপে অনভ্যস্ত। জীবানন্দ এ সকল কাজে সুশিক্ষিত। শীঘ্র গিয়া শান্তিকে ধরিল। এবং তাহাকে ভূতলে ফেলিয়া প্রহার করিবে বলিয়া তাহাকে কায়দা করিয়া জাপটাইয়া ধরিতে গেল। স্পর্শ মাত্রেই জীবানন্দ চমকিয়া শান্তিকে ছাড়িয়া দিল। কিন্তু শান্তি বাহু দ্বারা জীবানন্দের গলা জড়াইয়া ধরিল।
জীবানন্দ বলিল, “এ কি! তুমি যে স্ত্রীলোক। ছাড়! ছাড়! ছাড়!” কিন্তু শান্তি সে কথায় কর্ণপাত না করিয়া চীৎকার করিয়া ডাকিতে লাগিল “ওগো, তোমরা দেখ গো! একজন গোঁসাই জোর করিয়া স্ত্রীলোকের সতীত্ব নষ্ট করিতেছে।”
৯