—তোমার সেই পবননন্দন ভাদুড়ীর খবর কি?
—হাওয়া হয়ে উবে গেছে, তার অস্তিত্বই নেই। আমার কাছে একটি হনুমানজীর ভাল ছবি আছে, তোমার সেই সুরঙ্গীর ফোটোর সঙ্গে বাঁধিয়ে রাখলে বেশ হবে না?
—তুমি একটি ভীষণ বকাটে মেয়ে। সেইজন্যেই বি. এস-সিতে ফেল করেছ।
—ঝুনি মিত্তির আমার ডবল বকাটে, সে ফার্স্ট হল কি করে? আমি অঙ্কে কাঁচা, ম্যাক্সওয়েলের থিওরিটা মোটেই বুঝতে পারি না, আর ওইটেরই কোশ্চেন ছিল।
—কেন, ও তো খুব সোজা অঙ্ক। বুঝিয়ে দিচ্ছি শোন। ভি ইকোয়াল টু রুট ওভার ওআন বাই কাপ্পা মিউ—
—থাক থাক। বাসরঘরে অঙ্ক কষলে অকল্যাণ হয়।
—আচ্ছা, কাল বুঝিয়ে দেব।
—কাল তো কালরাত্রি, বর-কনের দেখা হবার জো নেই। সেই পরশু ফুলশয্যায় দেখা হবে।
বেশ তো, তখন বুঝিয়ে দেব।
—ফুলশয্যায় অঙ্ক কষলে মহাপাতক হয় তা জান? ঠাকুমার আবার আড়িপাতা রোগ আছে, যদি শুনতে পান যে নাতজামাই ফুল-শয্যায় অঙ্ক কষছে তবে গোবর খাইয়ে প্রায়শ্চিত্ত করাবেন। তাড়া কিসের, আমি তো পালাচ্ছি না। বছরখানিক যাক, তার পর বুঝিয়ে দিও।
—আচ্ছা তাই হবে। এখন ঘুমনো যাক, কি বল? দেখ সুনন্দা, তুমি খাসা দেখতে।