পাতা:আনন্দীবাঈ ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম (১৯৫৭).pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চাঙ্গায়নী সুধা
২১

ভক্তিভরে কেটে নিয়ে মা,
বাবা শিবের শ্রীচরণে দেব।

 কালীবাবু তাঁর টেবিলের পিছনে বসে সমস্ত নিরীক্ষণ করছিলেন। এখন এগিয়ে এসে জটাধরকে প্রশ্ন করলেন, আজ কত টাকা হাতালে জটাধরবাবু?

 জটাধর বললেন, চাঁদার কথা বলছেন? অতি সামান্য, বড়জোর পঞ্চাশ টাকা। আপনার মক্কেলরা তো কেউ টাকার আণ্ডিল নয়, সকলেরই দেখছি অদ্যভক্ষ্য ধনুর্গুণ।

 —আমার দোকানে ব্যবসা করলে আমাকে কমিশন দিতে হয় তা বোঝ তো?

 —বিলক্ষণ বুঝি। এই নিন পাঁচ টাকা, টেন পারসেণ্টের কিছ বেশী পোষাবে।

 —তোমার ওই বদনাটায় আর কিছু আছে না কি?

 —আছে বই কি, চায়ের কাপের দু কাপ হবে। খাবেন?

 —দাম কিন্তু দেব না।

 —আপনার কাছে আবার দাম কি। এই নিন, সবটাই খেয়ে ফেলুন।

 কালীবাবু দু পেয়ালা চাঙ্গায়নী পান করলেন, একটু পরেই তাঁর চোখ ঢুলুঢুলু হল।

 জটাধর বললেন, টেবিলের ওপর শুয়ে পড়ে একটু বিশ্রাম করুন কালীবাবু। ভাববেন না, দশ মিনিটের মধ্যেই আপনারা সবাই চাঙ্গা হয়ে উঠবেন। হাঁ, ভাল কথা— আমার টাকা একটু কম পড়েছে, কিছু হাওলাত চাই, শৃঙ্গেরী মঠে যাবার রাহাখরচ, টাকা পঁচিশ হলেই চলবে। আপনার ক্যাশ থেকে নিলুম। আপত্তি নেই তো? একটা হ্যাণ্ডনোট লিখে দিই?...তাও নয়? থ্যাঙ্ক ইউ কালীবাবু,