পাতা:আনন্দী বাঈ - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অধ্যায়

তৎপর হইলেন। কিন্তু তিনি সে বিষয়ে সহজে সফলকাম হইতে পারিলেন না। কারণ যমুনা দেখিতে তেমন সুশ্রী ছিল না।

 বহু অনুসন্ধান করিয়াও যমুনার বর জুটিল না দেখিয়া দিন দিন তাহার পিতা মাতার উদ্বেগ বৃদ্ধি পাইতে লাগিল। দৈব উপায়ে যদি কোন ফল লাভ হয়, এই ভাবিয়া, যমুনার জননী তাহাকে নিকটবর্ত্তী শিবমন্দিরে গিয়া প্রত্যহ প্রদক্ষিণ করিতে আদেশ করিলেন। আশ্চর্য্যের বিষয় এই, যে দিন সে শিবমন্দিরে গিয়া প্রথমবার প্রদক্ষিণ করিয়া আসিল, সেই দিনই অপরাহ্ন কালে গণপৎ রাওয়ের জনৈক বন্ধু আসিয়া যমুনার মাতামহীকে বরের সংবাদ প্রদান করিলেন। তিনি বলিলেন, “এখানকার ডাকঘরে বর আসিয়াছে, ইচ্ছা হয় ত আমার সঙ্গে দেখিতে চল।” এই কথা শ্রবণে আনন্দিত হইয়া যমুনার মাতামহী, মাতৃষ্বসা ও ভগিনী সেই ব্যক্তির সহিত বর দেখিবার জন্য কল্যাণের ডাকঘরে গিয়া পশ্চাভাগের দরজা দিয়া ডাকবাবুর বাসায় প্রবেশ করিলেন। বর দেখিয়া শুনিয়া তাঁহাদিগের এক প্রকার মনোনীত হইল। পর দিন গণপৎ রাওয়ের জনৈক প্রতিবেশীর গৃহে ডাকবাবুকে আহ্বান করিয়া কন্যা দেখান হইল। বর মহাশয় তৎসম্বন্ধে কোনও প্রশ্নাদি করিয়া কন্যাকে দেখিবামাত্র বিবাহে আপনার সম্মতি জানাইলেন। তখনই বিবাহের দিন স্থির হইয়া গেল। গণপৎ রাও কিয়ৎ পরিমাণে আশ্বস্ত হইলেন।

 যাহার সহিত যমুনার বিবাহের সম্বন্ধ এইরূপে স্থির হইল, তাহার নাম শ্রীযুক্ত গোপাল বিনায়ক জোশী সঙ্গমনেরকর।