পাতা:আনন্দী বাঈ - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮
আনন্দী বাঈ

বিবাহের প্রবর্ত্তক পণ্ডিতবর বিষ্ণু পরশুরাম শাস্ত্রী মহোদয়ের ও অপর সমাজ-সংস্কারদিগের সহিত এ বিষয়ে পত্র-ব্যবহার করিতেছিলেন। এমন কি, গণপৎ রাওয়ের নিকট তাঁহার কন্যার পাণিগ্রহণে প্রতিশ্রুত হইবার পরও তিনি বিবাহের জন্য বিধবা কন্যার অনুসন্ধানে বিরত হন নাই। তাঁহার পিতা, পুত্রের বিধবা-বিবাহে প্রবৃত্তির বিষয় অবগত হইয়া তাঁহার প্রতি অত্যন্ত বিরক্ত হইয়াছিলেন। পিতাকে সন্তুষ্ট করিবার জন্য গোপাল রাও এবার বাটী গিয়া এই নূতন সম্বন্ধের কথা তাঁহাকে জ্ঞাপন করিলেন। পুত্রের সুমতি হইয়াছে ভাবিয়া পিতা মাতা অতীব আনন্দিত হইলেন এবং এই উদ্বাহ-কার্য সম্পন্ন করিবার জন্য বিশেষ ব্যস্ত হইয়া উঠিলেন। কিন্তু গোপাল রাও সে বিষয়ে নানা প্রকারে বিলম্ব ঘটাইতে লাগিলেন এবং স্বীয় বিবাহের জন্য একটি বিধবা কন্যার সন্ধান করিবার নিমিত্ত তাঁহার সংস্কারক বন্ধুদিগকে পত্র লিখিলেন।

 এদিকে গণপৎ রাও গোপাল রাওয়ের কথায় বিশ্বাস স্থাপন করিয়া কন্যার বিবাহের আয়োজন করিতে লাগিলেন। আত্মীয় ও স্বজনবর্গকে নিমন্ত্রণ করা হইল। কন্যার অব্যুঢ়ান্ন (“আইবুড়-ভাত”) প্রভৃতি উৎসবও সমাহিত হইল। কিন্তু বরের কোন সংবাদ পাওয়া গেল না! কন্যাপক্ষীয় লোকেরা প্রতি মুহূর্ত্ত বিষম উদ্বেগে যাপন করিতে লাগিলেন। পরিশেষে বিবাহের নির্দ্দিষ্ট দিবস অতীত হইয়া গেল। গ্রামের লোকেরা ও প্রতিবেশিগণ কেহ বরের চরিত্র, কেহ যমুনার ভাগ্য এবং কেহ বা, যিনি মধ্যস্থ