পাতা:আনন্দী বাঈ - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অধ্যায়

হইয়াছিলেন—তাঁহার ব্যবহারের সমালোচনা করিয়া নানা প্রকার মতামত প্রকাশ ও নিন্দাবাদ করিতে লাগিল। যমুনার পিতামাতা এই ঘটনায় নিতান্ত ম্রিয়মাণ হইলেন।

 এদিকে গোপাল রাওয়ের মাথায় তখনও বিধবা-বিবাহ করিবার সংকল্প প্রবলভাবে ঘুরিতেছিল। এই কারণে তিনি পিতামাতাকে ও গণপৎ রাওকে প্রতারিত করিবার জন্য সঙ্গমনের হইতে অন্তর্হিত হইলেন। কিছুদিন পরে, বিবাহের নির্দ্ধারিত দিবস অতিক্রান্ত হইয়াছে দেখিয়া তিনি ‘কল্যাণে’ কর্ম্মস্থানে গমন করিবার আয়োজন করিতে লাগিলেন। এমন সময়, যে ভদ্র লোকটি মধ্যস্থ হইয়া তাঁহার সহিত যমুনার বিবাহ-সম্বন্ধ স্থির করিয়াছিলেন, সহসা তাঁহার সহিত নাশিক ষ্টেশনে গোপাল রাওয়ের সাক্ষাৎ হয়। ভদ্রসন্তান লোকনিন্দায় উত্ত্যক্ত হইয়া গোপাল রাওকে ধরিবার জন্য সঙ্গমনের অভিমুখে যাত্রা করিয়াছিলেন।

 পথিমধ্যে নাশিক স্টেশনে গোপাল রাওকে দেখিতে পাইবামাত্র তিনি তাঁহার যথেষ্ট তিরস্কার করিলেন। গোপাল রাও নিতান্ত লজ্জিত হইয়া তাঁহার নিকট পুনঃ পুনঃ ক্ষমাপ্রার্থনা করিলে, মধ্যস্থ মহাশয় তাঁহাকে নাশিক-নিবাসী শ্রীযুক্ত গঙ্গাধর নরসিংহ কেতকর নামক এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির নিকট লইয়া গেলেন। পরিশেষে কেতকর মহাশয়ের তাড়নায় গোপাল রাও নাশিকস্থিত আত্মীয়গণের সহিত বিবাহের জন্য কল্যাণে গমন করিতে বাধ্য হইলেন।

 যথাসময়ে বিবাহ-কার্য্য সম্পন্ন হইল। এই সময়ে যমুনার পূর্ব নাম পরিবর্ত্তিত হইয়া নূতন নামকরণ হয়। পরিণয়-কালে