পাতা:আনন্দী বাঈ - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



তৃতীয় অধ্যায়

গোপাল রাওয়ের ব্যবহার অন্য বিষয়ে যেরূপই হউক, একটী বিষয়ে তিনি অতীব দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। স্বদেশীয় রমণী-সমাজের মঙ্গল কামনা তরুণ বয়স হইতেই তাঁহার হৃদয়ে গভীর ভাবে বদ্ধমূল হইয়াছিল। কিন্তু স্ত্রী-শিক্ষা ও স্ত্রী-স্বাধীনতা সম্বন্ধে তাঁহার সমসাময়িক সংস্কারকেরা যে আন্দোলন উপস্থিত করিয়াছিলেন, তিনি তাহার বিশেষ পক্ষপাতী ছিলেন না। মৌখিক আন্দোলন অপেক্ষা কার্যতঃ স্ত্রীজাতির হিতসাধনে তাহার অধিকতর মনোযোগ ছিল। এ বিষয়ে স্বীয় সহধর্ম্মিণীর বিশেষ সহায়তা-লাভের আকাঙ্ক্ষায় তিনি ধীর ও অবিচলিত ভাবে তাঁহাকে শিক্ষাদানপূর্ব্বক আপনার অভীষ্ট সাধনের উপযোগিনী করিয়া লইতেছিলেন। দেশের অবস্থার পর্য্যালোচনা করিয়া তাঁহার এইরূপ সংস্কার হইয়াছিল যে, উপযুক্ত চিকিৎসয়িত্রীর অভাবে ভারতীয় মহিলাকুলকে পদে পদে যেরূপ বিড়ম্বনা-ভোগ করিতে হয়, আর কিছুরই অভাবে সেরূপ হয় না। এই কারণে, অপর কোনও বিষয়ে বিশেষ লক্ষ্য না করিয়া সেই অভাব মোচনের জন্য তিনি নীরবে স্বীয় ক্ষুদ্র শক্তির নিয়োগ করিয়াছিলেন। দুঃসময়ের জন্য স্ত্রীকে স্বাধীনভাবে জীবিকার্জ্জনের যোগ্য করাও তাঁহার অন্যতর উদ্দেশ্য ছিল। শ্রীরামপুর হইতে আনন্দী বাঈ শ্রীমতী কার্পেণ্টারকে লিখিয়াছিলেন, “চিকিৎসা-বিদ্যা শিক্ষা করিয়া