পাতা:আনন্দী বাঈ - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
আনন্দী বাঈ

মরি বা বাঁচি, আমি সঙ্কল্প-চ্যুত হইব না। * * * * * আমি যাঁহার বাটীতে থাকিব, তিনি যেন আমাকে কন্যার মত দেখেন, ইহাই আমার প্রার্থনা। আমাকে তথায় অবস্থানকালে স্বহস্তে পাক করিতে হইবে। তাহাতে খরচও কিছু কম পড়িতে পারে।” এই সময়ে সেই বীরবালার বয়স ১৭ বৎসর মাত্র ছিল!

 গোপাল রাও বোম্বাইয়ের থিয়সফিক্যাল সোসাইটীর সভ্য ছিলেন। এই কারণে আনন্দী বাঈর আমেরিকা গমনের সংবাদ শ্রবণ করিয়া কর্ণেল অল্‌কট মহোদয় তাঁহাকে আমেরিকার একজন বিচারপতির নামে একখানি অনুরোধ-পত্র লিখিয়া দিলেন। ইহার পর উপযুক্ত সহযাত্রীর অনুসন্ধানে ও অপর নানা কারণে বহু দিবস অতিবাহিত হইয়া গেল। এদিকে আনন্দী বাঈ আমেরিকা যাইবেন, এই কথা সংবাদপত্রে প্রচারিত হওয়ায় তাঁহার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধবেরা নানা প্রকারে তাঁহাকে বাধা দিতে লাগিলেন। তাঁহার অনেক হিতৈষী ব্যক্তিও এই সময়ে তাঁহার শত্রুতাচরণে প্রবৃত্ত হইলেন। কিন্তু আনন্দী বাঈ কিছুতেই সংকল্প ত্যাগ করিলেন না।

 আনন্দী বাঈর আমেরিকায় গমনের কারণ-সম্বন্ধে অনেকে তাঁহাকে অনেক প্রকারের প্রশ্ন করিতেছিলেন। সেই সকল প্রশ্নের উত্তর-দানের জন্য আনন্দী বাঈ স্থানীয় বিদ্যালয়গৃহে সভা আহূত করিয়া স্বীয় বক্তব্য ইংরাজী ভাষায় বক্তৃতাকারে প্রকাশ করেন। সে বক্তৃতা সেই সময়ের অধিকাংশ দেশীয় ও ইংরাজী সংবাদপত্রে প্রকাশিত হইয়াছিল। সপ্তদশবর্ষীয়া ব্রাহ্মণ-যুবতীর