পাতা:আনন্দী বাঈ - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪
আনন্দী বাঈ

সম্পন্ন হয় না। ভারতীয় মহিলাকুলের এই গুরুতর অভাব দূর করিবার জন্য আমি স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া আমেরিকায় ডাক্তারী বিদ্যা শিক্ষা করিতে যাইতেছি।”

 দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে তিনি যাহা বলেন, তাহার মর্ম্ম এইরূপ,—“মান্দ্রাজ ভিন্ন ভারতের আর কুত্রাপি ভালরূপে ডাক্তারী শিখিবার কলেজ নাই। অন্যত্র যাহা আছে, তাহাতে ধাত্রীবিদ্যার অধিক আর কিছুই শিখান হয় না। মান্দ্রাজেও হিন্দুরমণীর শিক্ষার কোনও বিশেষ বন্দোবস্ত নাই। আমিও ডাক্তারি শিখিবার জন্য ধর্মান্তরগ্রহণ করিতে অনিচ্ছুক। সুতরাং আমার পক্ষে এদেশে কোনও স্থানে শিক্ষার সুবিধা নাই।” বোম্বাই, কলিকাতা ও শ্রীরামপুরে অবস্থান-কালে দুষ্ট ও ইতর জনেরা তাঁহার প্রতি পরিহাস-বিদ্রূপাদি বর্ষণ করিয়া তাহাকে কিরূপ ব্যথিত করিত, অনেক ভদ্রনামধারী ব্যক্তিও যেরূপে তাঁহার অলীক কুৎসা-রটনা দ্বারা তৃপ্তিলাভ করিত, এই প্রসঙ্গে তিনি তাহারও বর্ণনা করেন এবং বলেন যে, আমেরিকায় এ সকল বিভ্রাট ঘটিবার সম্ভাবনা নাই।

 তৃতীয় প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্বীয় স্বামীর দারিদ্র্যের উল্লেখ করিতে বাধ্য হন। তদ্ভিন্ন তাঁহার শ্বশুর, শ্বশ্রূ ও অল্পবয়স্ক দেবরাদির ভরণপোষণের ভার যখন তাঁহার স্বামীর উপরই ন্যস্ত ছিল, তখন তাঁহাদিগকে অসহায় অবস্থায় ফেলিয়া স্ত্রীর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমেরিকায় গমন গোপাল রাওয়ের পক্ষে যুক্তি সঙ্গত কার্য্য বলিয়া তিনি বিবেচনা করেন নাই।

 আমেরিকায় গমন-হেতু সামাজিক দণ্ডের বিষয় উল্লেখ করিয়া