পাতা:আনন্দী বাঈ - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৮
আনন্দী বাঈ

করিয়া তাহার ভূয়োভূয়ঃ প্রশংসা করিত। কিন্তু সেই প্রশংসাবাদ শ্রবণ করিয়া আনন্দী বাঈ কখনও গর্ব্বে স্ফীত হন নাই; এমন কি, তজ্জন্য আত্মপ্রসাদের কোন লক্ষণ কখনও তাঁহার বদনমণ্ডলে প্রকাশ পাইত না।

 কণ্ঠস্বরের ন্যায় তাঁহার সৌন্দর্য্যও আমেরিকাবাসীর প্রশংসা আকর্ষণ করিয়াছিল। শ্রীমতী কার্পেণ্টার লিখিয়াছেন,—“আনন্দী বাঈ স্বদেশীয় বেশভূষায় সজ্জিত হইলে, তাঁহার লাবণ্যচ্ছটায় আমার নেত্র উদ্ভাসিত হইয়া যায়। মনে হয়, যেন দেবলোক হইতে কোন সুরসুন্দরী ধরাতলে অবতীর্ণা হইয়াছেন।” আনন্দী বাঈর রূপ যে অনিন্দ্য সুন্দর ছিল, তাহা নহে; কিন্তু তাঁহার দিব্য-জ্যোতিঃ সকলকেই বিস্ময়ে আপ্লুত করিত। তাঁহার বিবিধ অবস্থার আলোেক-চিত্র (ফটোগ্রাফ) দর্শন করিলে অনেক সময়ে তাঁহাকে কামরূপধারিণী বলিয়াই সন্দেহ জন্মে। চিত্রের প্রতি বিশেষ অনুরাগ-বশতঃ তিনি আমেরিকায় আপনার বহুসংখ্যক ফটোগ্রাফ তুলাইয়াছিলেন। কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, তাঁহার প্রত্যেক চিত্রেই তদীয় বিভিন্ন মূর্ত্তি প্রকাশমান। এমন কি, তাঁহার কোন দুইখানি ফটোগ্রাফ একরূপ নহে। তাঁহার একই দিবসে অঙ্কিত দুই খানি আলোকচিত্রেও তাঁহার রূপের এতদূর বিভিন্নতা পরিদৃষ্ট হয় যে, কোনও অনভিজ্ঞ ব্যক্তিই সে দুইটিকে এক ব্যক্তির চিত্র বলিয়া সহজে বিশ্বাস করিতে পারেন না। তাঁহার এই নিত্য-পরিবর্ত্তনশীল সৌন্দর্যভঙ্গীর জন্যই বোধ হয় তিনি শ্রীমতী কার্পেণ্টারের চক্ষে দেবকন্যার ন্যায় প্রতিভাত