পাতা:আনন্দী বাঈ - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০
আনন্দী বাঈ

হৃদয়ের ভার লঘু করিবার অবসর সকল সময়ে পাই না।” এরূপ মর্ম্মান্তিক যন্ত্রণা সহ্য করিয়াও আনন্দী বাঈ শ্রীমতী কার্পেণ্টারের নিকট আনন্দ-নির্ঝরিণী-রূপে প্রতীয়মান হইয়াছিলেন, ইহা কি সামান্য ধৈর্যশীলতার পরিচায়ক?

 আনন্দী বাঈর আমেরিকায় বসতি-কালে এই দেশ হইতে কয়েকজন ভদ্রসন্তান বিদ্যা-শিক্ষার্থ তথায় গমন করিয়াছিলেন। তাঁহাদিগের মধ্যে, আনন্দী বাঈর পত্রে কেবল শ্রীযুক্ত বাবু প্রতাপচন্দ্র মজুমদার মহাশয়ের প্রশংসা দেখিতে পাওয়া যায়। অপর কয়েকজনের সম্বন্ধে তিনি পুণার কোন বান্ধবীকে লিখিয়াছিলেন—“আমেরিকায় আগমন করিলে যে ভারতবাসীর দায়িত্ব বহুগুণ বৃদ্ধি পায়, একথা ইঁহাদের অনেকে বুঝেন না। এখানে আসিলে স্বর্গ হাতে পাইয়াছেন বলিয়া অনেকে মনে করেন এবং স্বেচ্ছাচারে প্রবৃত্ত হন। সংখ্যায় কম হইলেও ইঁহাদিগের আচরণ দেখিয়াই আমেরিকার লোকেরা সমগ্র ভারতবাসীর স্বভাব চরিত্র সম্বন্ধে নানা প্রকার সিদ্ধান্ত করিয়া থাকেন। এই কারণে, অন্ততঃ জনক-জননীর ও স্বদেশের সুনামের জন্যও ইঁহাদিগের এদেশে অবস্থানকালে সদাচরণে অনুরাগ প্রকাশ কর্ত্তব্য। ইঁহাদিগের মধ্যে দুই একজন আমার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছিলেন। তন্মধ্যে একজন আমাকে থিয়েটার দেখাইতে লইয়া যাইবার প্রস্তাব করিলেন। আমি তাঁহার প্রস্তাবে ঘৃণা ও উপেক্ষা প্রকাশ করিলাম। ইনি বোধ হয় ভাবেন যে, তাঁহার ন্যায় সকলেই শিক্ষা-ব্যপদেশে বিলাস-বাসনা-চরিতার্থ করিবার জন্য এদেশে আসিয়াছে। ইঁহার