পাতা:আনন্দী বাঈ - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



পঞ্চম অধ্যায়।

ফিলাডেলফিয়ায় কিছুদিন অবস্থানের পর গোপাল রাওয়ের বিচ্ছেদ আনন্দী বাঈর পক্ষে অতীব কষ্টকর বোধ হইতে লাগিল। একারণে তিনি স্বামীকে আমেরিকায় আহ্বান করিয়া পত্র লিখিলেন। সেই পত্রের একাংশ এইরূপ,—“আপনার নিকট হইতে বিযুক্ত হইয়া আজ ঠিক এক বৎসর, দুই মাস, কুড়ি দিন হইল। এখন আপনার বিচ্ছেদ আমার কষ্টকর বোধ হইতেছে। আমি যথাসাধ্য প্রন্থালোচনায় চিত্ত সন্নিবেশিত করিয়া সে কষ্ট ভুলিবার চেষ্টা করি। * * * যে প্রকারে পারেন, আপনি এখানে আসিবার চেষ্টা করিবেন। কারণ, অধিক দিন আপনার নিকট হইতে দূরে থাকা আমার পক্ষে ক্রমেই কঠিন হইয়া উঠিতেছে। আপনার কাছে পয়সা কড়ির অভাব থাকিলে আমি আমার অলঙ্কারগুলি পাঠাইয়া দিতে পারি। তাহা বিক্রয় করিলে ভাড়ার টাকার যোগাড় হইবে। যদি বলেন, আমিই এখানে সেগুলি বিক্রয় করিয়া আপনাকে টাকা পাঠাইয়া দিতে পারি।” দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে, আনন্দী বাঈর এইরূপ পত্র পাইবার পরেও গোপাল রাও সামান্য কারণে তাহার প্রতি বিরক্ত হইয়া তাহাকে “গর্ব্বিতা”, “বিশ্বাসঘাতিনী” প্রভৃতি দুর্ব্বাক্যে ব্যথিত করিয়াছিলেন।

 গোপাল রাও-ও আমেরিকা যাইবার জন্য উৎসুক হইয়াছিলেন। আনন্দী বাঈর ভারতবর্ষ পরিত্যাগের পর, নানা কারণে স্বদেশের