পাতা:আনন্দী বাঈ - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৪
আনন্দী বাঈ

সে সময়ে সহধর্ম্মিণীর সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্য তাঁহার আর আমেরিকায় যাওয়া ঘটিলনা। অর্থাভাবই তাহার প্রধান কারণ। আমেরিকা-যাত্রার পাথেয়-সংগ্রহের জন্য আনন্দী বাঈ গোপাল রাওকে ভারতবর্ষ হইতে কতিপয় পণ্যদ্রব্য লইয়া যাইতে লিখিয়াছিলেন। আমেরিকার সহিত বাণিজ্য-সম্বন্ধ স্থাপিত করিতে পারিলে তাহা কিরূপ লাভজনক হইতে পারে এবং সে বিষয়ে হিন্দুসমাজের পথিপ্রদর্শক হইতে পারিলে দেশের কিরূপ মহদুপকার সাধিত হইবার সম্ভাবনা, তদ্বিষয়ে কয়েকটি পত্রে তিনি বহুল আলোচনা করিয়াছিলেন। কিন্তু এ বিষয়ে গোপাল রাও তাঁহার কতিপয় ব্যবসায়ী বন্ধুর পরামর্শ-প্রার্থী হওয়ায় এ বিষয়ে তাঁহারা মূলধন দিয়া তাঁহাকে সাহায্য করিতে অগ্রসর হইলেন না। তখন আনন্দী বাঈ লিখিলেন-“আমাকে অতঃপর মাসে ৫০৲ টাকা মাত্র পাঠাইবেন। মণি অর্ডার করিবার ব্যয় সহ পঞ্চাশ টাকার বেশী আপনি আর আমার জন্য খরচ করিবেন না। তাহাতেই আমি এখানে কোনরূপে চালাইব। আমার কষ্ট হইবে ভাবিয়া ৫০৲ টাকার বেশী এক পাই আর পাঠাইবেন না। এইরূপে যাহা উদ্বৃত্ত হইবে, তাহা ব্যাঙ্কে ফেলিয়া রাখিবেন। তাহা হইলে কিছু দিনে আপনার আমেরিকায় আসিবার ব্যয় সংগৃহীত হইবে। * * * আমার জন্য পাদুকাবস্ত্রাদি পাঠাইবারও আর এখন প্রয়োজন নাই। তবে নিতান্তই যদি আমার জন্য কিছু পাঠাইবার আপনার ইচ্ছা থাকে, তবে সুবিধা হইলে একটি ‘পিন’ দেশীয় স্বর্ণকারের দ্বারা প্রস্তুত করাইয়া পাঠাইয়া দিবেন। ইংরাজের