পাতা:আনন্দী বাঈ - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭০
আনন্দী বাঈ

দেখাইতে লাগিলেন। এমন কি, তিনি একবার তাঁহাকে জানাইলেন যে, আনন্দী বাঈর পরীক্ষা শেষ না হইলে তিনি তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিবেন না।

 একদিন আনন্দী বাঈ শ্রীমতী কার্পেণ্টারের কন্যা অ্যামির সহিত কোনও বান্ধবীর গৃহ হইতে ফিরিয়া আসিয়া দেখেন, গোপাল রাও তাহার প্রকোষ্ঠে একটা টেবিলের সম্মুখে পুস্তকপাঠে নিমগ্ন রহিয়াছেন বলা অনাবশ্যক যে, গোপাল রাও আগমনের পূর্ব্বে কাহাকেও কোনও সংবাদ প্রেরণ করেন নাই। আনন্দী বাঈ গৃহে প্রত্যাগত হইলেও কেহ তাহাকে তাঁহার স্বামীর আগমন-বার্ত্তা জ্ঞাপন করে নাই। এরূপ অবস্থায় দীর্ঘ-বিরহ ও আশাতীত প্রতীক্ষার পর হঠাৎ স্বামি-সন্দর্শন-লাভ করিয়া তাঁহার মনে কিরূপ আনন্দের সঞ্চার হইয়াছিল, তাহা সহজেই বুঝিতে পারা যায়।

 বহুদিনের প্রবাসজনিত কষ্টে গোপাল রাওয়ের স্বাস্থ্য ভঙ্গ হইয়াছিল। আনন্দী বাঈয়ের যত্নে তিনি শীঘ্রই স্বাস্থ্য লাভ করিলেন। অতঃপর উভয়ের একত্র বাসে পরমসুখে চারি মাস কাল যাপিত হইল। তখন গোপাল রাও আর ভারতবর্ষে প্রত্যাবৃত্ত না হইয়া স্ত্রীর শিক্ষা সাঙ্গ না হওয়া পর্য্যন্ত আমেরিকাতেই বাস করিবার সঙ্কল্প করিলেন। পাশ্চাত্য দেশসমূহে বক্তৃতা দ্বারা যথেষ্ট অর্থলাভ হইয়া থাকে। গোপাল রাওয়ের বক্তৃতা করিবার শক্তি ছিল। এই কারণে তিনি সেই ব্যবসায় অবলম্বনই শ্রেয়স্কর বিবেচনা করিলেন। আনন্দী বাঈ বলিলেন—“দুষ্ট