পাতা:আনন্দী বাঈ - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭২
আনন্দী বাঈ

পাইয়াছি। প্রত্যেক আছাড় খাওয়ার জন্য যদি এতটা করিয়া সোণা পাওয়া যায়, তাহা হইলে এরূপ আছাড় খাওয়াকে কে ‘দুর্ঘটনা’ বলিবে? তথাপি আমি এই ব্যাপারকে দুর্ঘটনা বলিয়াই মনে করি। কারণ এরূপ দুর্ঘটনা না ঘটিলে ঐ মূল্যেই একখানি প্রয়োজনীয় অস্ত্র বা উপযুক্ত পুস্তক ক্রয় করিতে পারা যাইত।”

 গোপাল রাও অর্থোপার্জ্জনের জন্য বক্তৃতা-বৃত্তি অবলম্বন করিলে আনন্দী বাঈ পাঠাভ্যাসে পুনর্ব্বার যত্নশীল হইলেন। পরীক্ষার দিন যত নিকটবর্ত্তী হইতে লাগিল, ততই কঠোর পরিশ্রম-সহকারে তিনি শিক্ষণীয় বিষয়সমূহ আয়ত্ত করিতে লাগিলেন। ইহাতে তাঁহার স্বাস্থ্য ভঙ্গ হইল। ১৮৮৬ খৃষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁহার আর একবার ডিপ্‌থিরীয়া রোগের সূচনা হইল। সৌভাগ্যক্রমে সেবার তিনি উহার ভীষণ আক্রমণ হইতে সহজেই অব্যাহতি পাইলেন। কিন্তু তিনি আর পূর্ব্ব স্বাস্থ্য লাভ করিতে পারিলেন না। ইহার পূর্ব্বে বড় দিনের ছুটীতে রোশেলে অবস্থিতির সময়ে তিনি ইংরাজী ভাষায় “হিন্দু ধাত্রী-বিদ্যা” বিষয়ে ৫০ পৃষ্ঠাব্যাপী এক প্রবন্ধ রচনা করিয়াছিলেন। একশত পৃষ্ঠায় উহা সম্পূর্ণ করিবার তাহার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সময়াভাবে উহা তিনি সম্পূর্ণ করিয়া যাইতে পারেন নাই।

 যথাকালে আনন্দী বাঈ পরীক্ষায় উত্তীর্ণা হইলেন। ১৮৮৬ সালের ১১ই মার্চ ফিলাডেলফিয়া কলেজের অধ্যক্ষ, অধ্যাপকগণ ও তত্রত্য বহু সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি সম্মিলিত হইয়া মহাসমারোহের সহিত তাঁহাকে যে এম, ডি, উপাধির সনদ প্রদান করিলেন, তা এই,—