পাতা:আনন্দ-তুফান - প্রিয়নাথ চক্রবর্ত্তি.pdf/১৫

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
সূচনা।
মহোৎসবে প্রাণের অবকাশ।

 যিনি পরিশ্রম করিয়া থাকেন, বিশ্রামে যে কেমন মুখ, তাহা তিনিই জানেন। পরিশ্রম-রত্নটীর একটী বিশেষ আশ্চর্য্য গুণ এই যে, ইহাকে যে কোন কার্য্যে নিযুক্ত করা যাউক না কেন, তাহা অনায়াসেই সুসম্পন্ন হয়। এই ‘পরিশ্রম’ আবার আধ্যাত্মিক ও লৌকিক ভেদে দুইপ্রকার। ইতিমধ্যে যিনি ‘নিজের’ কার্য্য করেন, তিনিই আধ্যাত্মিক-পরিশ্রমশীল বা জ্ঞানানন্দ-সাধক; আর যিনি পরের কার্য্য করেন, তিনিই লৌকিক পরিশ্রমশীল বা মোহ-বিমুগ্ধ॥

 এস্থলে কে ‘আপন’ আর কে ‘পর’, যদিও তাহার মীমাংসা করা অভিপ্রেত নহে, তথাপি এইপর্য্যন্ত জানিলেই হইবে যে, যাঁহাদিগকে লৌকিক সম্বন্ধে, বা স্থূল দৃষ্টিতে, আমরা আমাদের সহিত সম্মিলিত দেখি, তাঁহারাই আমাদের ‘আপন’;—আর যাঁঁহাদিগকে আমরা এই স্থূল-সম্বন্ধ হইতে বিচ্ছিন্ন দেখি, তাঁহারাই আমাদের ‘পর’।

 সে যাহা হউক, যাঁহারা এইপ্রকার পরের কার্য্য করিয়া থাকেন, তাঁহারা যদি সেই কার্য্য হইতে কখনও অবকাশ পান, তবে তাঁহাদের আর আহ্লাদের সীমা থাকে না। কারণ, তাহা হইলে তাঁহারা তখন তাঁহাদের ‘নিজের’ কার্য্য করিতে সময় পান। আর যাঁহাদের নিজের কোনরূপ কার্য্য না থাকে, তাঁহারা স্বেচ্ছামত আমোদ প্রমোদ করিয়া থাকেন;—এ কথা হয় ত সকলেই স্বীকার করিবেন।