পাতা:আনন্দ-তুফান - প্রিয়নাথ চক্রবর্ত্তি.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
আনন্দ-তুফান।

বিসর্জ্জন।

এ কি! এ কি সর্ব্বনাশ!
কেন রামাকুল কাঁদে অকস্মাৎ?
বলি’;–“কৈলাসবাসিনি!
যা’বে যাও, কেঁদ না জননি! .
ভুল না মা, কিঙ্করী সকলে শঙ্করি।”
হায়, এ কি রে বিষম স্বপ্ন অনিদ্রায়!—
সুনীল অম্বর হ’তে
বাজিল কি বজ্র আজি মর্ত্ত্যবাসি-শিরে?
(ধূমময় হেরি মর্ত্ত্যধাম!) শুনি নাম ‘বিজয়া-দশমী?’
কেমনে গেল রে ‘সপ্তমী’, ‘অষ্টমী’ আদি তিনদিন?
কিরূপে আসিল, কাল-দশমী-রূপিণী সর্ব্বনাশী,
গ্রাসিতে সংসার-সুখ-শশী—অসময়ে?
যখন হেরেছি তব ও রাঙ্গা চরণ,
ভুলেছি মা! ভবের যাতনা,
আত্মজ্ঞান[১] সহ সেই ক্ষণে; তা’ই
না হইল পূজা বুঝি—তব মুক্তিপ্রদ পা দুখানি;


  1. যতদিন মানবের ‘আত্মজ্ঞান’ (‘আমি পরমাত্মা হইতে পৃথক্‌’ এই জ্ঞান) থাকে, ততদিনই সে ভগবানের পুজোপাসন করে, কিন্তু যখন আত্মজ্ঞানশূন্য হয়, তখন তাহার আর কোন কার্য্য করিবারই শক্তি থাকে না।