পক্ষে এই ছন্দ প্রথমতঃ কতকটা বাধো-বাধো ঠেকিবে, কিন্তু পদ-বিচ্ছেদ-চিহ্নগুলির উপর লক্ষ্য রাখিলে আর কোন গোলযোগ থাকিবে না।
‘আনন্দ-তুফানের’ অনেক স্থানে মনোহর কবিত্ব ও উচ্ছ্বসিত ভাব আছে। গ্রন্থকারের হৃদয়ের সহিত হৃদয় মিলাইয়া ইহা পাঠ করিলে বাস্তবিকই ভক্তির উদ্রেক হইবে।
আমার নিতান্ত ইচ্ছা ও আশা আছে, ‘আনন্দ তুফান’ রচয়িতা অন্যান্য প্রসিদ্ধ প্রসিদ্ধ হিন্দূৎসব সম্বন্ধে এইরূপ ভক্তিপূর্ণ গ্রন্থ লিখিয়া আমাদিগকে সন্তুষ্ট করিবেন। ইতি
মহাশয়ের অভিপ্রায়-পত্র।
(কলিকাতা, ১৬ই ভাদ্র, ১৩০০ বঙ্গাব্দ।)দুর্গোৎসব বঙ্গদেশীয় হিন্দুদিগের একটা প্রধান পর্ব্ব। এ সময় বালক বালিকাগণ নববস্ত্র পরিধান করিয়া মহামায়ার মণ্ডপাঙ্গনে নাচিয়া বেড়ায়। যুবক যুবতীগণ নবীন বিলাসজনক বস্তুগুলি অঙ্গে ধারণ করিয়া প্রায় তদ্গতই থাকেন। এবং বৃদ্ধ বৃদ্ধাগণ জগদম্বার জগতে আবির্ভাব ভাবিয়া, স্বীয় সস্তুতিবর্গের কল্যাণকামনাতেই প্রায় নিরত। ফলতঃ সকলকেই “আমোদ-তুফানে” ভাসমান দেখা যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এগুলি পার্থিব আমোদ, এ গ্রন্থোক্ত আধ্যাত্মিক ‘আনন্দ’ নহে। মানব নিরবচ্ছিন্ন অনিত্য সাংসারিক আমোদে মত্ত না থাকিয়া, অনির্ব্বচনীয় অসীম নিত্য “আনন্দ তুফানে” মগ্ন হম, ইহাই এ গ্রন্থের প্রতিপাদ্য। আমরা হৃদয়ের সহিত এ গ্রন্থের অভিপ্রায় সম্পূর্ণ অনুমোদন করি। ইতি