তখন আর চুপ করে থাকা নিরাপদ মনে করে আন্তর্জাতিক নিয়মমত আফগান সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল এবং ভারতের রাজন্যবর্গের সমর্থন লাভ করল।
ইংলণ্ড এবং আমাদের দেশের সংবাদপত্রগুলি চিৎকার করে বলতে লাগল “গেল রাজ্য গেল মান।” এই সময়ে বাংলা দেশের যত সাপ্তাহিক এবং দৈনিক সংবাদপত্র ছিল বৃটিশকে সমস্বরে চিৎকার করে সমর্থন করে। বাঙ্গালী মুসলমান পরিচালিত মহম্মদী এবং লাহোরের কয়েকখানা সংবাদপত্র অতীব গাম্ভীর্যের সহিত বাজে কথা বকতে আরম্ভ করে। তাদের ধারণা ছিল আমানউল্লা সত্বরই দিল্লী পর্যন্ত মার্চ করে পৌছতে পারবেন। বৃটিশ জানত পাতিয়ালার মহারাজা যদি ইচ্ছা করেন তবে মারাঠা সৈন্য হটিয়ে দিয়ে পনর দিনের মধ্যে কাবুল পর্যন্ত পৌছতে পারতেন। সেজন্য পাকা সাম্রাজ্যবাদী বৃটিশ ধীরে অগ্রসর হ'তে থাকে। ভারতীয় সৈন্য পাঠান, কোহাট, থাল প্রভৃতি স্থানে মামুলী বাধা প্রাপ্ত হয়। তারপর ভারতীয় সৈন্য ধীরে ধীরে উত্তর-পশ্চিম-সীমান্ত প্রদেশের খান্দের তারা যেমন ছিল তেমনি থাকতে আদেশ দিয়ে উত্তম পথে ভারতসীমান্তে পৌঁছে।
এখানেই যুদ্ধের শেষ হবার সম্ভাবনা ছিল কিন্তু আমানউল্লা ইচ্ছা করেই যুদ্ধ করতে থাকেন। আমানউল্লা এক কোটি লোকের অধিপতি ছিলেন কিন্তু সেই এক কোটি লোক এক সম্প্রদায়ভুক্ত ছিল না, দ্বিতীয়তঃ মোল্লারা এই যুদ্ধের পক্ষপাতী না থাকায় সামান্য ক্ষয় স্বীকার করে বৃটিশ সৈন্য জালালাবাদ পৌঁছে। ঠিক সেই সময় আমানউল্লা বৃটিশকে হুমকী দিয়ে জানিয়ে দেন, আর অগ্রসর হলে তিনি সোভিয়েট রুশের সাহায্য নিতে বাধ্য হবেন। বাস, এখানেই যুদ্ধের শেষ।
লয়েড জর্জ বিশেষ করে সোভিয়েট রুশিয়ার শক্তি অবগত ছিলেন। কোনরূপ বাক্যাড়ম্বর না করে বৃটিশ সরকার নিজের সৈন্য সীমান্তে অপসরণ