পাতা:আফগানিস্থান ভ্রমণ.djvu/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আফগানিস্থান ভ্রমণ
১৬৭

কাজ। আপনাকে বিদায় দিয়ে আমি কোনও গ্রামে যাব এবং গ্রামে গেলে গ্রামের লোককে এগিয়ে যাবার পথ দেখাব।

 বুঝলাম ইয়াকুব সহজ ছেলে নয়। রাত কাটিয়ে পরের দিন তাকে নিয়েই একজন কোটিপতি হিন্দুর বাড়িতে গেলাম। লোকটা আফগান ব্যাঙ্কের অর্ধেক শেয়ারের মালিক। একজন পাঠান ছেলেকে সংগে দেখে বুঝতে পেরেছিল আমার প্রতি মুসলমানদের সহানুভূতি আছে। একটি কথাও জিজ্ঞাসা না করে একজন বয়কে ডেকে বললে, এই মুসাপীরকে একটি ভাল ঘর দেখিয়ে দাও এবং এখনই খাওয়ার বন্দোবস্ত কর। বয় আমাকে নিয়ে চলার সময় কোটিপতি বলেন, যতদিন ইচ্ছা থাকতে পারবেন এবং এই বয়ই আপনার খাদ্য এবং আদেশ প্রতিপালন করবে।

 বয়ের সঙ্গে ঘরে গেলাম। ঘরটা কুড়িহাত লম্বা এবং সেই অনুপাতে চওড়া। সমস্তটা মেজে মোটা কারপেট দিয়ে মোড়া। এক পাশে একখানা চার পাই, তাতে লেপ, তোবক, সবই ছিল কিন্তু সাজানো ছিল না। আমাদের বসিয়ে রেখেই বয় বিছানা করল এবং কারপেটের উপরে আর একখানা কারপেট বিছিয়ে বসতে বল্‌ল। ইয়াকুব গড়াল না, সে আমার সাইকেল এবং পিঠ-ঝোলা আনতে গেল। ইত্যবসরে আমি পাশের কামরায় গরম জলে স্নান করতে সক্ষম হলাম। গরম জলের তদারক করত আর একটি বয়। ইয়াকুব এসেই দেখল স্নান করে আমি পথের ক্লান্তি মুছে ফেলতে সক্ষম হয়েছি। ইয়াকুবকেও স্নান করতে বললাম। সে স্নান করল না। বললে, এতে শরীরে শৈথিলা আসে এবং অত্যধিক ঘুম হয়। বাস্তবিক পক্ষে স্নানের পরই আমার চোখ বন্ধ হয়ে আসছিল।

 কতক্ষণ পরে বয় নানারকমের খাদ্য সমেত একখানা থাকা নিয়ে আসল। ইয়াকুবকে খেতে বল্লাম। সে মাত্র এক পেয়ালা ইংলিশ চা খেয়েই সন্তুষ্ট হল; বেশী খেল না। খাওয়া শেষে ইয়াকুবকে নিয়ে পথে বের হলাম। উদ্দেশ্য ইংরাজী