পাতা:আফগানিস্থান ভ্রমণ.djvu/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আফগানিস্থান ভ্রমণ
৩৯

ইসলাম ছাড়া আর কিছু বুঝত না তারা আনোয়ার পাশাকে সাহায্য করতে আশ্বাস দিয়েছিল। বাহির হতে আনোয়ার পাশা সৈন্য নিয়ে বোখারা স্টেটের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। ফল কিন্তু ভাল হয় নি। পেছন দিক থেকে মামুদের মত দেশপ্রেমিক, মানুষ হিতৈষী, মরণ বিজয়ী যুবকেরা আনোয়ার পাশাকে আক্রমণ করেন এবং সেখানেই প্রতিক্রিয়াশীলদের দুষ্কর্মের যবনিকা পাত হয়।

 গল্পটি যদিও ছোট এবং এর ঐতিহাসিক নিশ্চয়তা কতটুকু বিবেচ্য বিষয় তবুও এতে আমার মন আকৃষ্ট হয়েছিল। তারপরই সে বললে, “আমরা হিন্দুদের ভয়ানক ভয় করি। হিন্দুরা কখনও কোন বিদ্রোহে যোগ দেয় না। যখনই যে দল জয়ী হয়েছে তারা সেই দলেরই মন যুগিয়ে চলেছে। এদের নিজেদের কোন স্বাধীন সত্তা নেই। এরা নিরীহ রাজভক্ত প্রজা। বর্তমানে “সরকতে আসাম” অর্থাৎ কাবুল বেঙ্কের অর্ধেক অংশ হিন্দুদের, বাকি অর্ধেক রাজ পরিবারের। প্রকৃত পক্ষে রাজপরিবারের সংগে হিন্দুদের অর্থনীতির দিক দিয়ে বিশেষ সম্বন্ধ রয়েছে।

 ছেলেটিকে হঠাৎ একজন বয়স্ক যুবক বাধা দিয়ে বললে, এসব বাজে কথা রেখে দাও হে, এখন আমরা আরও গল্প শুনিব, শুধু হিন্দু আর রাজপরিবারের কথা শুনে কাজে নেই। দুনিয়ার অনেক কিছু জানবার রয়েছে। আমি বাধা দিয়ে বললাম “একে বলতে দিন, বাধা দিচ্ছেন কেন।” ছেলেটি বললে, “আপনাকে কি আর বলব আমাদের অবস্থা কাহিল হয়ে গেছে।”

 আরও অনেক কথা হয়েছিল, কিন্তু এখানে তা বাড়িয়ে লাভ নেই।