পাতা:আমতণ্ডূল নৈবেদ্য দিয়া বিষ্ণুপূজা হইতে পারে কি না এতদ্বিষয়ক বিচার.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ Seసి ] ব্রাহ্মণভক্ষ্য। যদিও তদন্ন সাধারণ ব্রাহ্মণ ভোজ্য নী হউক কিন্তু যে সকল ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়ের সহিত পরস্পর অন্নব্যবহার আছে তাহারা অবশ্য তদন্ন ভক্ষণ করিতে পারেন এরূপ স্থলে কেবল বঙ্গদেশীয় ব্যবহারের বশীভূত হইয়া তণ্ডুল নৈবেদ্য প্রদানের আবশ্বক কি ?” এক্ষণে ১২৮২ সালে অশ্বিন মাসে প্রকাশিত শ্রীক্ষেত্রপাল স্মৃতিরত্বের প্রণীত বিষ্ণুনৈবেদ্য মীমাংসায় প্রথম ব্যব স্থার প্রশ্ন এবং তাহার উত্তরে ব্রাহ্মণ পণ্ডিতদিগের সম্মত উত্তর প্রকাশ করা যাইতেছে। “প্রশ্ন ১ম বিষ্ণুমন্ত্রদীক্ষিত ব্রাহ্মণভিন্ন ব্রাহ্মণের বিষ্ণুপ্রতিমা পূজায় অধিকার আছে কি না ? উত্তর। সৌর শাক্ত গাণপত্য শৈব এবং বৈষ্ণব আচারশালী ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় বৈশ্ব ও শূদ্র এবং ব্রহ্মচারী, গৃহী, বানপ্রস্থ, এবং ভিক্ষু (চারি আশ্রমী চারি বর্ণের) সকলের বিশেষতঃ ব্রাহ্মণের বিষ্ণুপ্রতিমাদির পূজার অধিকারই শাস্ত্রার্থ ! যেহেতু অকরণে প্রত্যবায়’বাহুল্য শোনা যায় বলিয়া উহা সন্ধ্যাদির মত নিত্য কর্তৃব্য কর্ম্ম। কিন্তু বিষ্ণুমন্ত্রদীক্ষিত বৈষ্ণবাচীরশীল ব্রাহ্মণ মাত্রেরই যে উহাতে অধিকার তাহা নহে। যেহেতু দ্বিজ মাত্রে পরমাক্ষরী সাবিত্র দেবীর উপাসনু করা প্রযুক্ত সকলেই শাক্ত, উহারা শৈব নহে বৈষ্ণবও নহে নির্ব্বাণতন্ত্রের এই বচন অনুসারে ব্রাহ্মণ মাত্রেই শাক্ত বলিয়। কথিত হইয়াছে অর্থাৎ ব্রাহ্মণক্ষত্রের বিষ্ণুপূজায় অনধিকার বলা হয় সুতরাং উহা কাহারও সম্মত নহে। ইহাতে এবং :