পাতা:আমতণ্ডূল নৈবেদ্য দিয়া বিষ্ণুপূজা হইতে পারে কি না এতদ্বিষয়ক বিচার.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৫২ | আগমতত্ত্ববিলাসকারের অভিপ্রেত হইলে “ অতিদেশপ্রাপ্তস্য তণ্ডুলস্য নিষেধপরং” এই মাত্র লিখিলেই সম্পন্ন হইত পুনবর্বার “নত্বর্য্যাদিনিষেধপরং ” এইরূপ ষে লিখিয়াছেন তাহার তাৎপর্য্য এই যে অর্ঘ্য, ও আদিপদপ্রাপ্ত আবাহন, এই দুই স্থল ব্যতীত যে যে স্থলে পূজায় অক্ষত দেওয়ার বিধি আছে সেই সমস্ত স্থলেই বিষ্ণুকে অক্ষতদান নিষিদ্ধ। অতএব অতিদেশপ্রাপ্ত বিষয়ে এবং নৈবেদ্যে অক্ষতদান সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ, ইহাই বিচারসঙ্গত ও শাস্ত্রসম্মত । এইরূপস্থলে মহামহোপাধ্যায় স্মার্তভট্টাচার্য্যও এইরূপ মীমাংসা করিয়াছেন, যথা “ যুগাদরস্তু দেবকৃত্য এব ন পিতৃরূত্যে” অর্থাৎ যুগাদর দেবকার্য্যেই পিতৃকার্য্যে নহে, স্মার্ত্তভট্টাচার্য্যের এই বাক্যের কেবল দেবকার্ষ্যেই যুগতিথির আদর এই অভিপ্রায় হইলে “ যুগ্মাদরস্তু দেবকৃত্য এব” এইমাত্র লিখিলেই সম্পন্ন হইত। তবে ষে পুনর্বার “ম পিতৃরূত্যে ” এইরূপ লিখিয়াছেন। তাহার অভিপ্রায় এই যে পিতৃকার্য্য ভিন্ন সমস্ত কার্য্যে অর্থাৎ ভ্রাতৃদ্বিতীয়া প্রভৃতি সমুদয় মনুষ্যকৃত্য ও পূজাদি সমস্ত দেবরূত্যে যুগ্মাদর গ্রাহ | o - প্রতিবাদী মহাশয়েরা এইরূপ মীমাংসা করিয়া মুখে বলিয়া থাকেন কি না বলিতে পারি না । কিন্তু এই মীমাংসানুসারে ব্যবহার করিয়া থাকেন। ১২৮২ সালের সমস্ত পঞ্জিকাতেই মনুষ্যকৃত্য ভ্রাতৃদ্বিতীয়াকার্য্য যুগাদরপ্রযুক্ত পরদিনে লিখিত ছিল । প্রতিবাদী মহাশয়েরাও তদনুসারে ব্যবহার করিয়াছেন । যাহা হউক বিজ্ঞ বলিয়া খ্যাত ব্যক্তি দিগের ধর্ম্মশাস্ত্র