পাতা:আমতণ্ডূল নৈবেদ্য দিয়া বিষ্ণুপূজা হইতে পারে কি না এতদ্বিষয়ক বিচার.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ S&& I নিক মন্ত্রী মহাশয়ের অমূলক বাক্যকে কিরূপে শিরোধার্ঘ্য করা যাইতে পারে। প্রতিবাদী মহাশয়ের যদি ঐ অমূলক অপ্রামাণিক আধুনিক মন্ত্রী বাক্যেই কেবল নির্ভর করিয়া আমতভুল নৈবেদ্য কাণ্ডকে বৈধ বলিয়া নির্দেশ করিয়া থাকেন তাহা হইলে বোধ হয় তাহারী কিছুমাত্র অনুধাবন না করিয়াই ঐ রূপ নির্দেশ করিয়াছেন। যেহেতু কোনও বিষয়ের নিষেধ বা বিধি অবগত হইতে হইলে তদ্বিষয়ে সুস্পষ্ট মুনিবচন সত্ত্বে তাহ অপ্রমাণ করিয়া ঐরূপ আধুনিক বাক্যকে তৎপ্রতিকুলপক্ষে দণ্ডায়মান করা নিতান্ত অর্ব্বচীনের মত কার্য্য ব্যতিরেকে আর কি বল যাইতে পারে ? ইহা উপহার বিলক্ষণ অবগত আছেন । এক্ষণে প্রতিবাদী মহাশয়ের মহা আড়ম্বরে র্যাহার দোহাই দিয়াছেন, তাহার আপত্তির মীমাংসা হইলেই বিষ্ণুপূজায় আমতণ্ডুলের নৈবেদ্য নিষেধ ধর্ম্মশাস্ত্রীয় কি না এই বিষয়ে ভাহীদের সকল সংশয়ই নিরাকৃত হইতে পরিবেক। ঐ আফ্রিকাচারতত্ত্বাবশিষ্টীয় চূর্ণকের মর্থ অনুসারে বোধ হয় মন্ত্রী মহাশয়ের প্রধান আপত্তি ও যুক্তি এই যে আমশ্রাদ্ধে অগ্রভাগ আমান্ন বিষ্ণুকে দেওয়া হইয়া থাকে স্তুতরাং বিষ্ণুনৈবেদ্যে আমান্ন বিধেয় । ইহাতে বক্তব্য এই যে মৎস্য মাংসাদি নিষিদ্ধ হইলেও স্বভোজ্য স্থলে বিষ্ণুকে দেওয়ার যেরূপ কাদাচিৎক কথঞ্চিৎ বিধি পাওয়া যায়, সেইরূপ পিতৃভক্ষ্য বলিয়া আৰম্রাদ্ধেও বিষ্ণুকে আমান্ন দেওয়া হইয়া থাকে। ইহাতে আতপতঙুল যে স্বরূপতঃ বিষ্ণুনৈবেদ্য ইহা ঐ হেতুবাদে কোনও রূপেই প্রতিপন্ন হইতে পারে না ।