পাতা:আমতণ্ডূল নৈবেদ্য দিয়া বিষ্ণুপূজা হইতে পারে কি না এতদ্বিষয়ক বিচার.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s१२ ] বিষয়ে যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত ব্যবহারমুলক আমতণ্ডুলনৈবেদ্যকাও যে শাস্ত্র, ধর্থ ও সদাচার বছিভূত কর্ম্ম এবং সাধুবিগর্হিত ব্যবহার ইহা জামান্ননৈবেদ্য দিয়া বিষ্ণুপূজ হইতে পারে কি মা ? এঙদ্বিষয়ক দ্বিতীয় পুস্তকে এতদেশীয় ও অন্যান্য দেশীয় শাস্ত্রজ্ঞ প্রায় সমুদয় মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিতের স্বাক্ষরিত ব্যবস্থাপত্র দ্বারা উহা সমর্থিত হইয়াছে। তদর্শনে কতিপয় ব্যক্তি অতিশয় অসন্তুষ্ট ও রুষ্ট হইয়া তাদৃশ আমতণ্ডুল নৈবেদ্য ব্যবহার সর্বতোভাবে শাস্ত্রানুমোদিত কর্ত্তব্য কর্ম্ম এবং সকলকার পরিগৃহীত বিশিষ্টাচার, ইহা প্রতিপন্ন করিবার নিমিত্ত আপত্তি উত্থাপন করিয়া আমার প্রস্তাবিত বিষয় খণ্ডন করিতে বিশেষ প্রয়াস পাইয়াছেন এবং বিশেষ ব্যগ্রতা প্রকাশ করিয়াছেন । সে সমুদয়ই ধর্ম্মশাস্ত্রানুসারে এক প্রকার যথাসাধ্য মীমাংসিত হওয়াতে একবারেই বিফল হইয় গেল। এক্ষণে প্রতিবাদী বিরোধী প্রায় সকল মহাশয়েরই একটি প্রধান আপত্তি এই যে, এতদ্দেশে আমতণ্ডুলনৈবেদ্য ব্যবহার আবহমানকাল প্রচলিত আছে এবং শূদ্র প্রভৃতির সেবায় কোথাও পক্কান্ন কি জার্ক্সমুগাদির নৈৱেদ্য দেওয়ার রীতি নাই, শাস্ত্রানুমোদিত ন হইলে কি প্রধান প্রধান বিজ্ঞ লোকেরা বিষ্ণুপূজাবিষয়ে আমতভূল নৈবেদ্য ব্যবহার অবিহত রূপ প্রচলিত রাখতেন। অবশ্নই উহার শাস্তুপর্যালোচনাপূর্বক একটা মীমাংসা করিয়া উহার অন্যথাচরণ করতেন । এ বিষয়ে স্থথা বিতণ্ডা না করির অতি পূর্ব পূর্ব্ব কালে এতদেশীয় শূন্দ্রদিগের স্থাপিত বিষ্ণুদৈৰায় কিরূপ নৈবেদ্য অর্পণ করা ইয়া থাকে, তাহার নাম, জাতি, বাসস্থান ও ভোগের প্রকার এই সমুদরের পরিচয় দেওয়া যাইতেছে।