পাতা:আমতণ্ডূল নৈবেদ্য দিয়া বিষ্ণুপূজা হইতে পারে কি না এতদ্বিষয়ক বিচার.pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৯৪ } ৰছে। ইহার নিত্যত অপলাপ করিতে পারা ষায় না। ইতিপূর্ব্বে যে আটটি হেতু প্রদর্শিত হইয়াছে, তাহার প্রত্যেকেই নিত্যত্বপ্রতিপাদক, তন্মধ্যে পাক করা অন্ধের নৈবেদ্য দান সংক্রান্ত বিধিবাক্যে তিনটি হেতু সম্পূর্ণ লক্ষিত হইতেছে ; প্রথম নিত্য শব্দ প্রয়োগ দ্বিতীয় ফলশ্রুতিবিরহ তৃতীয় লঙ্ঘনে দোষত্রুতি । সুতরাং পক্কান্ন নৈবেদ্য দানের নিত্যতা বিষয়ে কোনও সংশয় থাকিতেছে না ।

  • অন্নদতৃপ্তিমাপ্নোতি ইত্যাদি ” এইরূপ অনেক গুলি রোচক বচন আছে, যাহা দৃষ্টে ঐ অন্ন নৈবেদ্যদান বিধি আপাততঃ কাম্য বলিয়া বোধ হয় সুতরাং উহা নিত্যকাম্য মধ্যেই গণিত হইতেছে। আর ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় বৈশ্ব ও শূদ্র সকলেরই পক্ষে ঐ বিধান এবং নিত্য কাম্য বিধির অনুষ্ঠানে বা উল্লঙ্ঘনে যে প্রত্যবায় তাহ ধর্ম্মশাস্ত্রব্যবসায়ী মাত্রেরই অবিদিত নাই। কিন্তু শূদ্রদিগের বিষ্ণুপূজাদিস্থলে ব্রাহ্মণ দ্বারা পাক করা অন্নের নৈবেদ্য দেওয়া বিধেয় এ বিষয়ে মহামহোপাধ্যায় স্মার্তভট্টাচার্য্য স্পষ্ট মীমাংসাপূর্বক সিদ্ধান্ত করিয়া ব্যবস্থা লিখিয়াছেন। স্মার্ত্তভট্টাচার্য্যের বাক্য যে অস্মদেশে কিরূপ মান্য তাহ, র্যাহারা ধর্ম্মশাস্ত্র ব্যবসায় করেন ও মীমাংসা শাস্ত্রানুসারে মীমাংসা করিবার বিলক্ষণ ক্ষমতা আছে এবং আচার ব্যবহার বিষয়ে সদসদ্বিবেচনা করিতে পারেন তাহারা সকলেই সবিশেষ অবগত আছেন। উক্ত স্বার্ত্তভট্টাচার্ঘ্যের বাক্যের সহিত শূলপাণি এবং বাচস্পঞ্জিমিশ্র প্রভৃতি প্রাচীন গ্রন্থকারদিগের বাক্যের বিরোধ হইলেও উক্ত স্মার্কভট্টাচার্য্যের ৰাক্য যে বেদবাক্যের ন্যায়