পাতা:আমতণ্ডূল নৈবেদ্য দিয়া বিষ্ণুপূজা হইতে পারে কি না এতদ্বিষয়ক বিচার.pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২se ] মহাশয়েরা যে ভাগের গোপন করিয়াছেন তাহ দ্বারাই ব্যক্ত আছে। যথা “ এবঞ্চেৎ কপেতরুব্যাখ্যানমপি যুক্তমিতি প্রতিপ্রাতি” এরূপ হইলে কল্পতরুর ব্যাখ্যাও যুক্তরূপে প্রতীত হইতেছে। ইহাতে প্রতিবাদী মহাশয়দিগের উদ্ধৃত পাঠের এই “ব্যাখ্যা ষে কল্পতরুর নহে কিন্তু শ্রীকৃষ্ণতর্কালকারের” এই কথা বলা উন্মত্তপ্রলাপতুল্য হইয়া গেল, আর দেখ ঐ পাঠের পরেই যে শ্রীকৃষ্ণতর্কালঙ্কার নিজে মহামহোপাধ্যায় স্মার্ত্তভট্টাচার্য্যের মতের ব্যাখ্যা বর্ণনা করিয়াছেন তাহারও সম্পূর্ণই গোপন করিয়াছেন। ঐ মহাশয়ের যখন পূর্ব্বপাঠ উদ্ধত করিয়া উহার স্বকপোলকপিত অসার ও অসঙ্গত ভাব ব্যাখ্যা দ্বারা প্রকাশ করিয়াছেন তখন পরপাঠ ষে দর্শন করেন নাই ইহাও বলিতে পারা যায় না এবং র্তাহারাও অণর অন্যথা বলিতে পারিবেন না। উক্ত মহাশয়ের সেই অংশ অপ্রকাশ রাবিয়া ধর্ম্মকে একবারে নষ্ট করিবার জন্য উদ্যোগ ও ষত্ব করিয়াছেন তাহাতে আর সন্দেহ কি হইতে পারে ? তৎসম্বন্ধে আমার বক্তব্য এই যে, যে সময় ধর্ম্ম চতুষ্পাদ ছিলেন সেই সময়েই প্রতিবাদী মহাশয়দিগের প্রতিদ্বন্দ্বী বলিয়া ধর্ঘ্যের প্রতি শত্রুতাচরণ করা উচিত ছিল, কিন্তু সম্প্রতি ধর্মের তিন পাদ নষ্ট হইয়া একপাদমাত্র অবশিষ্ট আছে। এ বিধায়ে হীনবল হইয়া আর সমকক্ষতা নাই এমন অবস্থায় ও এমন সময়ে তাহাদিগের ধর্মের প্রতি শত্রুক্তাভাব পরিত্যাগ করা উচিত ছিল । এক্ষণে সাধারণের নিকট প্রতিবাদী মহাশয়দিগের উল্লিখিত স্বভাবের আরও কিছু বিশেষ প্রকার পরিচয় দিবার নিষিক্ত শ্রীকৃষ্ণতর্কালঙ্কার