পাতা:আমতণ্ডূল নৈবেদ্য দিয়া বিষ্ণুপূজা হইতে পারে কি না এতদ্বিষয়ক বিচার.pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २२४ ] আমার প্রকাশিত দ্বিতীয় পুস্তকে ৮ রন্দাবনধামের গোস্বামী মহাশয়দের লিখিত ৪র্থ সংখ্যক ব্যবস্থায় বিষ্ণুমন্ত্রে অদীক্ষিত ব্রাহ্মণের অবৈষ্ণবত্ব খণ্ডন পূর্বক বৈষ্ণবত্ব প্রতি পাদন করা স্মৃতিরত্বের আবশ্বক বিধায় এইরূপ সিদ্ধান্ত প্রকাশ হইল, আবার যখন বিষ্ণুমন্ত্রে দীক্ষিত ব্রাহ্মণের বৈষ্ণবত্ব অপলাপ করা শ্রেয়ংকল্প বিবেচনা করিয়াছেন এবং তদনুসারে বিষ্ণুমন্ত্রে দীক্ষিত ব্রাহ্মণকেও শক্তি নির্দেশ করিয়া বিষ্ণুপূজনে অনধিকারী বলিয়া ষে আপত্তি উত্থাপন করিয়াছেন তাহার হেতু নিরূপণের প্রমাণ স্থলে, বোধ করি পূর্ব্বাপর পর্য্যালোচনা পরিশূন্য হইয়া স্মৃতিরত্ন মহাশয় লিখিয়াছেন, “নির্ব্বাণতন্ত্রে ব্রক্ষণমাত্রকেই শাক্ত বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। যথ। শাক্ত এব দ্বিজাঃ সর্ব্বে ন চ শৈব ন বৈষ্ণবঃ। উপশস্তন্তে যতো দেবীং সাবিত্রীং পরমাক্ষরীম্। সমস্ত ব্রাহ্মণই শাক্ত, অর্থাৎ শক্তিমস্ত্রোপাসক বলির অভিস্থিত হইয়াছেন, শৈব বা বৈষ্ণব হইতে পারেন না, যেহেতু ভঁাহার। পরমাক্ষরী সাবিত্রী দেবীর উপাসনা করিয়া থাকেন” । - স্মৃতিরত্বের এই লেখাতে কৌতুকও হয়, দুঃখও হয়, আক্ষেপও হয়, চিন্তাও হয়, আশঙ্কাও হয় । হায় ! হায় ! পাপীয়সী ঈর্ষ্যা পিশাচী ও বিতগু বিদ্যাধরী স্কন্ধে আরোহণ করিলে কি কোনও মানুষেরই দিগ্বিদিক জ্ঞান থাকে না ? পূর্ব্বে যখন ব্রাহ্মণমাত্রের অবৈষ্ণবত্ব খণ্ডন করিয়া বিষ্ণুমন্ত্রদীক্ষা ৱ্যতিরেকেও ৰৈঞ্চবত্ব স্থাপন করা আবশ্যক হইয়াছিল, তখন তিনি বিষ্ণুমন্ত্রে অদীক্ষিত ব্রাহ্মণমাত্রের বৈষ্ণবত্ব প্রতিপাদনের প্রয়াস পাইয়াছেন, কারণ তখন ব্রাহ্মণমাত্রের