পাতা:আমতণ্ডূল নৈবেদ্য দিয়া বিষ্ণুপূজা হইতে পারে কি না এতদ্বিষয়ক বিচার.pdf/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २७8 ] বেদভ্রষ্ট দিগের নিমিত্তে পঞ্চরাত্র, ভাগবত, বৈখানস মন্ত্র প্রভৃতি শাস্ত্র কহিয়াছেন। - এইরূপ মোহশাস্ত্র সৃষ্টি করিবার তাৎপর্য্যও পদ্মপুরাণে ব্যাখ্যাত হইয়াছে। যথা স্বাগমৈঃ কপিতৈস্তৈস্তৈর্জনীন মদ্বিমুখামৃ কুৰু । মঞ্চ গোপয় যেন স্যাৎ স্বষ্টিরেষোত্তরোত্তর ॥ ইতি নাগোজীভউরুতসগুশতীব্যাখ্যান্ধতপদ্মপুরাণবচনম্। বিষ্ণু শিবকে কহিতেছেন, তোমার কম্পিত আগমশাস্ত্র সমুছ দ্বার। লোককে আমাতে বিমুখ কর, এবং আমাকে গোপন কর, তাছা হইলে এই স্থষ্টিপ্রবাহু উত্তরোত্তর চলিবেক । অতএব দেখ, যখন ভগবান বিষ্ণু ও শিব উভয়ে পরামর্শ করিয়া লোকমোহনের নিমিত্ত আগমশাস্ত্রের সৃষ্টি করিয়াছেন; এবং লোকদিগের অনায়াসে মোহ জন্মাইবার নিমিত্ত, শ্রুেতি স্মৃতি ও পুরাণকে পূর্ব পূর্ব্ব যুগের শাস্ত্র স্থির করিয়া দিয়া কলিযুগের লোকদিগকে কেবল আগমশাস্ত্র অনুসারে চলিবার ব্যবস্থা দিয়াছেন, তখন “ কলাবাগধসম্ভবঃ,” এই আগমবাক্য অনুসারে, কলিযুগে কেবল আগমশাস্ত্র অনুসারেই চলিতে হইবেক, ইহাই ঐ মোহজনক আগমবাক্যের অর্থ ও তাৎপর্য্য। আর যখন আগমশাস্ত্র কেবল লোকমোহনের নিমিত্তই সৃষ্ট হইয়াছে, তখন পূর্ব্বোক্ত আগমবাক্য অবলম্বন করিয়া, কলিকালে পুরাণ ও স্মৃতি প্রভৃতি ধর্ম্মশাস্ত্রের অপ্রামাণ্য প্রতিপন্ন করিবার সম্ভাবনাও নাই ; আগম বেদবিরুদ্ধ মোহনশাস্ত্র, পুরাণ, বেদ স্মৃতি অনুযায়ী ধর্ম্মশাস্ত্র এবং হেমাদ্রিকৃত চতুর্ব্বৰ্গচিন্তামণির দানখণ্ডীয় সপ্তম অধ্যায় প্লুত