পাতা:আমার কথা (প্রথম খণ্ড) - বিনোদিনী দাসী.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৮
আমার কথা!

কার্য্য! এই সময় সুবিখ্যাত “নল-দময়ন্তী”, “ধ্রুবচরিত্র”, “শ্রীবৎস-চিন্তা” ও প্রহলাদচরিত্র নাটক প্রস্তুত হয়।

 এই থিয়েটারের যতই সুনাম প্রচার হইতে লাগিল, গিরিশবাবু মহাশয় ততই যত্নে আমায় নানাবিধ সৎশিক্ষা দিয়া কার্য্যক্ষম করিবার যত্ন করিতে লাগিলেন। এই বার “চৈতন্যলীলা” নাটক লিখিত হইল এবং ইহার শিক্ষাকার্যও আরম্ভ হইল। এই “চৈতন্যলীলা”র রিহার্সালের সময় “অমৃতবাজার পত্রিকার” এডিটার বৈষ্ণচূড়ামণি পূজনীয় শ্রীযুক্ত শিশিরবাবু মহাশয় মাঝে মাঝে যাইতেন এবং আমার ন্যায় হীনার দ্বারা সেই দেব-চরিত্র যতদূর সম্ভব সুরুচি সংযুক্ত হইয়া অভিনয় হইতে পারে তাহার উপদেশ দিতেন, এবং বার বার বলিতেন যে, “আমি যেন সতত গৌর পাদপদ্ম হৃদয়ে চিন্তা করি। তিনি অধমতারণ, পতিতপাবন, পতিতের উপর তাঁর অসীম দয়া।” তাঁর কথামত আমিও সতত ভয়ে ভয়ে মহাপ্রভুর পাদপদ্ম চিন্তা করিতাম। আমার মনে বড়ই আশঙ্কা হইত যে কেমন করিয়া এ অকূল পাথারে কূল পাইব। মনে মনে সদাই ডাকিতাম “হে পতিতপাবন গৌরহরি, এই পতিতা অধমাকে দয়া করুন।” যেদিন প্রথম চৈতন্যলীলা অভিনয় করি তাহার আগের রাত্রে প্রায় সারা রাত্রি নিদ্রা যাই নাই; প্রাণের মধ্যে একটা আকুল