পাতা:আমার কথা (প্রথম খণ্ড) - বিনোদিনী দাসী.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৪
আমার কথা!

কীটকে যেন ক্ষমার জন্য সতত আগুয়ান? কতদিন তাঁহার প্রধান শিষ্য নরেন্দ্রনাথের (পরে যিনি বিবেকানন্দ স্বামী বলিয়া পরিচিত হইয়াছিলেন) “সত্যং শিবং” মঙ্গলগীতি মধুর কণ্ঠে থিয়েটারে বসিয়া শ্রবণ করিয়াছি। আমার থিয়েটার কার্য্যকরী দেহকে এইজন্য ধন্য মনে করিয়াছি। জগৎ যদি আমায় ঘৃণার চক্ষে দেখেন, তাহাতেও আমি ক্ষতি বিবেচনা করিনা। কেননা আমি জানি যে “পরমারাধ্য পরম পূজনীয় ৺রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব” আমায় কৃপা করিয়াছিলেন। তাঁর সেই পিযুষ পূরিত আশাময়ী বাণী— “হরি গুরু, গুরু হরি” আমায় আজও আশ্বাস দিতেছে। যখন অসহনীয় হৃদয়-ভারে অবনত হইয়া পড়ি; তখনই যেন সেই ক্ষমাময় প্রসন্ন মূর্ত্তি আমার হৃদয়ে উদয় হইয়া বলেন যে, বল—“হরি গুরু, গুরু হরি।” এই চৈতন্যলীলা দেখার পর তিনি কতবার থিয়েটারে আসিয়াছেন মনে নাই। তবে “বক্সে যেন তার সেই প্রসন্ন প্রফুল্লময় মুর্ত্তি আমি বহুবার দর্শন করিয়াছি।

 ইহার পর “দ্বিতীয় ভাগ চৈতন্যলীলা” অভিনয় হয়! এই দ্বিতীয় ভাগ চৈতন্যলীলা প্রথমভাগ হইতে কঠিন ও অতিশয় বড় বড় স্পীচ দ্বারা পূর্ণ! আর ইহাতে চৈতন্যের ভূমিকাই অধিক। এই দ্বিতীয় ভাগ চৈতন্যলীলার অংশ মুখস্থ করিয়া আমায় প্রায় একমাস মাথার যন্ত্রণা অনুভব করিতে হইয়াছিল। ইহার সকল স্থান কঠিন ও উন্মাদ-