কারী; কিন্তু যখন সার্ব্বভৌম ঠাকুরের সহিত সাকার ও নিরাকার বাদ লইয়া যুক্তি প্রদর্শন করিতে করিতে মহাপ্রভুর ষড়ভুজমূর্ত্তি ধারণ, সেই স্থান অভিনয় যে কতদূর উন্মাদকারী আত্মবিস্মৃত ভাবপূর্ণ, তাহা যাঁহারা দ্বিতীয় ভাগ চৈতন্যলীলার অভিনয় না দেখিয়াছেন, তাঁহার বুঝিতেই পারিবেন না। সেই সকল স্থান অভিনয়কালীন মনের আগ্রহ যতদূর প্রয়োজন; আবার দেহের শক্তিও ততদূর দরকার। কেননা সেই লঘু হইতে উচ্চ, উচ্চ হইতে উচ্চতর স্বর সংযোগে একভাবে মনের আবেগে মনে হইত যে আমি বুঝি এখনি পড়িয়া যাইব। আর সেই ৺জগন্নাথদেবের মন্দিরে প্রবেশকালীন “ঐ ঐ আমার কালাচাঁদ” বলিয়া আত্মহারা! ইহা বলিতে যত সহজ কার্য্যে যে কতদূর কঠিন ভাবিতেও ভয় হয়! এখনকার এই জড়, অপদার্থ দেহে যখন সেই সকল কথা ভাবি, তখন মনে হয়, যে কেমন করিয়া আমি ইহা সম্পূর্ণ করিতাম। তাই মনে মনে হয় যে, সেই মহাপ্রভুর দয়া ব্যতীত আমার সাধ্য কি? আমি রঙ্গালয় ত্যাগ করিবার পর এই “দ্বিতীয় ভাগ চৈতন্যলীলা” আর অভিনয় হয়। নাই! এই সময় অমৃতলাল বসু মহাশয়ের সর্ব্ব শ্রেষ্ঠ প্রহসন “বিবাহ বিভ্রাট” প্রস্তুত হয়। ইহাতে আমি “বিলাসিনী কারফরমার” অংশ অভিনয় করি! কি বিষম বৈষম্য! কোথায় জগতপূজ্য দেবতা মহাপ্রভু চৈতন্য
পাতা:আমার কথা (প্রথম খণ্ড) - বিনোদিনী দাসী.pdf/১১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার কথা!
৮৫
৮